দাদার বাদ গেল হাত, দৃষ্টি হারাতে পারে ভাই

এই সঙ্কটের শেষ কোথায়— বুঝে উঠতে পারছেন না খুরশিদ আমেদ শেখ। চার দিন আগে শোপিয়ানের মেমেন্দারে এক বিস্ফোরণে জখম হয়ে এসএমএইচএস হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি। এর মধ্যে ডাক্তাররা কাল খবর দেন, তাঁর বড় ছেলে তাহিরের ডান হাত থেকে এত রক্ত ঝরছিল যে, প্রাণে বাঁচাতে সেটি কেটে বাদ দিতে হয়েছে। বছর বারোর তাহির শোপিয়ানের ওই বিস্ফোরণেই জখম হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৪:০৬
Share:

ছবি: রয়টার্স।

এই সঙ্কটের শেষ কোথায়— বুঝে উঠতে পারছেন না খুরশিদ আমেদ শেখ। চার দিন আগে শোপিয়ানের মেমেন্দারে এক বিস্ফোরণে জখম হয়ে এসএমএইচএস হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি। এর মধ্যে ডাক্তাররা কাল খবর দেন, তাঁর বড় ছেলে তাহিরের ডান হাত থেকে এত রক্ত ঝরছিল যে, প্রাণে বাঁচাতে সেটি কেটে বাদ দিতে হয়েছে। বছর বারোর তাহির শোপিয়ানের ওই বিস্ফোরণেই জখম হয়েছিল।

Advertisement

শেখ পরিবারের সঙ্কটের এখানেই শেষ নয়। তাহিরের এক সম্পর্কিত ভাই, ৯ বছরের আরসালান আসলামও ওই হাসপাতালেই ভর্তি। তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। চোখে অস্ত্রোপচারের পরে আরসালানের প্রাণসংশয় না থাকলেও ডাক্তারদের আশঙ্কা, দু’টি চোখেই দৃষ্টি হারাতে পারে শিশুটি। চক্ষুবিশেষজ্ঞ বললেন, ‘‘আমরা যা যা করা সম্ভব করছি। কিন্তু একরত্তি ছেলেটার এই হাল দেখে সহ্য করতে পারছি না।’’

মেমেন্দারে শিশুরা কিছু একটা খুঁজে পেয়ে নাড়াচাড়া করছিল। সেটি থেকেই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় ১২ বছর বয়সি একটি ছেলে। মারাত্মক জখম হয় শেখ পরিবারের চার জন। বিস্ফোরণে তাহিরের ছোট বোন রাজিয়ার অন্ত্রে ফুটো হয়ে গিয়েছিল। তার অবস্থা এখন কিছুটা স্থিতিশীল। অবজ়ারভেশনে রাখা হয়েছে তাকে। চার জনকে দিশাহারা এখন শেখ পরিবারের বাকিরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন