সাইক্লোন ‘ওখি’র দাপটে কেরল ও তামিলনাড়ুতে থমকে গিয়েছে জনজীবন। দুই রাজ্যেই ছুটি দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজগুলি। এখনও পর্যন্ত ওই ঝড়ের দাপটে উপকূলবর্তী কেরলে ৭ জন এবং তামিলনাড়ুতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে দুর্যোগে মৃতদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পলানীস্বামী।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে ওখি শক্তি বাড়িয়ে উত্তর-পশ্চিমের দিকে এগোচ্ছে। ঝড়টির অবস্থান এখন লাক্ষাদ্বীপের উপর। আবার দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। পরে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ফলে ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে। মৎস্যজীবীদের কন্যাকুমারী উপকূল ও আরব সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
সমুদ্রে যাওয়া মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করতেও তৎপর হয়েছে প্রশাসন। নৌসেনা, বায়ুসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনী অভিযানে নেমে এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড়শো মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, প্রায় ২০০ জন মৎস্যজীবী গত কাল সমুদ্রে গিয়েছিলেন। ফলে এখনও নিখোঁজ অনেকেই। তাঁদের ফেরানোর চেষ্টা চলছে। আবার কিছু মৎস্যজীবী এমন দুর্যোগে ট্রলার ফেলে ফিরতে চাইছেন না। ফলে উদ্ধারকাজে কিছুটা হলেও বিঘ্ন তৈরি হচ্ছে। অনেক মৎস্যজীবী উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। উদ্ধার কাজের জন্য আরও বেশি করে বিমান নামাতে নির্দেশ দেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।