Chhattisgarh NHM

দাবিদাওয়া মানা হচ্ছে না, প্রতিবাদে জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের ১৪ হাজার চুক্তিভিত্তিক কর্মীর গণইস্তফা ছত্তীসগঢ়ে

ছত্তীসগঢ় প্রদেশ স্বাস্থ্য মিশন কর্মচারী সঙ্ঘের এক নেতার অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁরা দাবি জানাচ্ছেন যে, নিয়মিত কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। কাজের পরিবেশের উন্নতি করতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:০৫
Share:

ছত্তীসগঢ়ে একটি চিকিৎসা শিবিরে রোগীদের পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

তাঁদের দাবি মানছে না সরকার। এই অভিযোগ তুলে গত ১৮ অগস্ট থেকে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ শুরু করেন জাতীয় স্বাথ্য কমিশনের অস্থায়ী কর্মীরা। তার মধ্যেই ২৫ জন কর্মীকে কাজ থেকে ছাঁটাই করে দেওয়ায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাকি কর্মীরা। এর পরই একসঙ্গে ১৪ হাজার কর্মী ইস্তফা দিয়েছেন।

Advertisement

ছত্তীসগঢ় প্রদেশ স্বাস্থ্য মিশন কর্মচারী সঙ্ঘের এক নেতার অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁরা দাবি জানাচ্ছেন যে, নিয়মিত কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। কাজের পরিবেশের উন্নতি করতে হবে। এ ছাড়াও আরও বেশ কয়েক দফা দাবি জানানো হয় সরকারকে। কিন্তু তাঁদের সেই দাবি মানা হচ্ছে না। কেন দাবি মানা হচ্ছে না, তার প্রতিবাদ শুরু করেন কর্মীরা। তার মধ্যেই ২৫ জনকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

তবে প্রশাসনের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, জাতীয় স্বাথ্য কমিশনের ওই কর্মীদের দাবিদাওয়া নিয়ে ১৩ অগস্ট বৈঠকে বসা হয়েছিল। ১০টি দাবির মধ্যে চারটি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকি তিনটি দাবি খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আর বাকি তিনটি দাবির বিষয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা হবে। ধর্না এবং বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার জন্য বার বার জানানো হয় কর্মীদের। নোটিসও পাঠানো হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে দাবি। কিন্তু তার পরেও বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ায় ২৫ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে।

Advertisement

জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি অমিত কুমার মিরি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, প্রশাসনের এই দমনমূলক পদক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। এই ধরনের আচরণ বৈঠক এবং আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করছে। প্রশাসনের এই ভূমিকার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে ১৪ হাজার ৬৭৮ জন অফিসার এবং কর্মী ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘যত দিন না আমাদের দাবি মানা হয়, তত দিন ধর্মঘট চলবে। প্রায় ১৬ হাজার অস্থায়ী কর্মী অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছন। বাকি কর্মীরা শীঘ্রই ইস্তফা দেবেন।’’ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবায় একটা অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement