India

কাশ্মীর সীমান্তে পাক জঙ্গিদের গোপন সুড়ঙ্গের হদিস পেল বিএসএফ

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ওই এলাকায় জইশ-ই-মহম্মদ কমান্ডার কাশিম জান একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির চালায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:৪৩
Share:

কাঠুয়া জেলার সীমান্তে হদিস মিলেছে। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার পাক সীমান্তে প্রায় ১৫০ মিটার লম্বা গোপন সুড়ঙ্গের খোঁজ পেল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাক পঞ্জাব থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্যেই ওই সুড়ঙ্গটি খোঁড়া হয়েছিল বলে বিএসএফের দাবি।

Advertisement

সরকারি সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে পানসার এলাকায় টহলরত জওয়ানেরা বিএসএফের ১৪ এবং ১৫ নম্বর সীমান্ত চৌকির মধ্যবর্তী এলাকায় সুড়ঙ্গটি চিহ্নিত করেন। প্রায় ৩০ মিটার গভীর ওই সুড়ঙ্গের ওপারে পাক পঞ্জাব প্রদেশের সকড়গড় জেলা। সেখানে অভিয়াল ডোগরা এবং কিঙ্গরে-দে-কোঠে এলাকায় পাক রেঞ্জার্স বাহিনীর দু’টি শিবির রয়েছে।

অভিযোগ, জঙ্গি অনুপ্রবেশের ‘লঞ্চিং প্যাড’ হিসেবে ডোগরা এবং কিঙ্গরে-দে-কোঠে ব্যবহৃত হয়। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ওই এলাকায় পাক জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার কাশিম জান দীর্ঘদিন ধরেই একটি প্রশিক্ষণ শিবির চালায়। ২০১৬ সালে পঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হানার ঘটনার মূল অভিযুক্ত কাশিম। গত নভেম্বরে কাশ্মীরের নাগরোটায় নিরাপত্তা বাহিনী-জঙ্গি সংঘর্ষের ঘটনাতেও সে জড়িত ছিল বলে পুলিশের দাবি।

Advertisement

গত ১০ দিনের মধ্যে কাশ্মীর সীমান্তে এই নিয়ে ২টি সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলল। বিএসএফের এক আধিকারিক শনিবার বলেন, ‘‘প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ বলছে, পানসারের সুড়ঙ্গটি প্রায় ৮ বছর আগে খোঁড়া হয়েছিল। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরেই সেটি জঙ্গি অনুপ্রবেশে ব্যবহৃত হয়েছে।’’ সম্ভবত, ২০১২ সালে সীমান্তের ওপারে পাক রেঞ্জার্সদের বাঙ্কার নির্মাণের সময় সুড়ঙ্গগুলি বানানো হয়েছিল।

তিনি জানান, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ওই সুড়ঙ্গের অদূরেই পাক জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন টহলদার বিএসএফ বাহিনীর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট বিনয় প্রসাদ। তিনি জানান, জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) নিরাপত্তা নজরদারি বাড়ায় সম্প্রতি চিহ্নিত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশে সক্রিয় হয়েছে পাক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন