অপেক্ষা শেষ, ঘরে ফিরলেন ১৭ বাংলাদেশি

অবশেষে ১৭ জন বাংলাদেশের নাগরিককে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হল। বছর দু-তিনেক আগে তাঁরা অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। পাসপোর্ট-ভিসা না থাকায় বিএসএফ তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:১৬
Share:

ও পারে নিজের দেশ। করিমগঞ্জ নদী-সীমান্তে নৌকায় বাংলাদেশিরা। রবিবার। ছবি: শীর্ষেন্দু সী

অবশেষে ১৭ জন বাংলাদেশের নাগরিককে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হল। বছর দু-তিনেক আগে তাঁরা অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। পাসপোর্ট-ভিসা না থাকায় বিএসএফ তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

Advertisement

আজ যাঁদের প্রত্যর্পণ করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই করিমগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তাই সকলের সাজাও হয় করিমগঞ্জের আদালতে। অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করায় আদালত তাঁদের ৩-৪ মাসের কারাবাসের নির্দেশ দেয়। কিন্তু সবাইকে কমপক্ষে তিন বছর ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ থাকতে হয়েছে। ভারতে প্রবেশ করা অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের আগে ‘পুশব্যাক’ করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা ফের ভারতে ফিরে আসতেন। ‘পুশব্যাক’ প্রক্রিয়া বৈধ নয় বলে বাংলাদেশ আপত্তি জানিয়ে তাঁদের নিতে চাইত না। বর্তমানে কোন বাংলাদেশি নাগরিক ধরা পড়লে তাঁদের ‘ডির্পোটেশন’ করা হয়। বাংলাদেশ সরকারি ভাবে সে সকল লোকদের সমঝে নেয়। এ দিন সেভাবেই ১৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের কাছে তুলে দেওয়া হয়।

৯ জানুয়ারি তাঁদের বাংলাদেশে হস্তান্তর করার কথা ছিল। সকলকে শিলচরের ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে করিমগঞ্জের কুশিয়ারা নদী সীমান্তে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি কাগজ না থাকায় বাংলাদেশের হাতে তাঁদের হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। অনুমতি আসার পর এ দিন তাঁদের স্বভূমিতে ফেরত পাঠানো হয়। ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি সুহাগ হুসেন জানান, প্রায় তিন বছর পর তাঁরা বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। ও পারে বাড়ির লোকরাও তাদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু শিলচরের ডিটেনশন ক্যাম্পে এখনও ৩২ জন বাংলাদেশের নাগরিক বন্দি রয়েছেন। বন্দি রয়েছেন বার্মার জনাকয়েক লোক। তাঁরা যে কবে বাড়ি ফিরবেন, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন সুহাগ।

Advertisement

এ দিন সকালে রাজ্য পরিবহন নিগমের বাসে শিলচর থেকে করিমগঞ্জে নিয়ে আসা হয় সকলকে। দু’টি নৌকা এবং বিএসএফের একটি স্পিডবোটে তাঁদের কুশিয়ারা নদীর ও পার জকিগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জওয়ানরা সকলকে সমঝে নেয়। এ কথা জানান করিমগঞ্জের সীমান্ত শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জগদীশ শীল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement