মেঘালয়ে খনি বিপর্যয়, উদ্ধারে গিয়েও ফিরে এলেন অনভিজ্ঞ এনডিআরএফ ও ডুবুরিরা

মেঘালয়ের কসান বেআইনি খাদানে আটকে পড়া শ্রমিকদের দেহ উদ্ধার যে কবে, কী ভাবে হবে তা নিয়ে নিশ্চিত নয় এনডিআরএফ, নৌসেনা, ওড়িশার দমকলকর্মী ও কোল ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৫০
Share:

অভিযান: কসানের খাদানে নামানো হচ্ছে নৌকো। নিজস্ব চিত্র

মেঘালয়ের কসান বেআইনি খাদানে আটকে পড়া শ্রমিকদের দেহ উদ্ধার যে কবে, কী ভাবে হবে তা নিয়ে নিশ্চিত নয় এনডিআরএফ, নৌসেনা, ওড়িশার দমকলকর্মী ও কোল ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল। কারণ সাড়ে তিনশো ফুট গভীরে প্রায় ৭০ ফুট জমা জলের ভিতরে নেমে উদ্ধারকাজের অভিজ্ঞতা নেই কারও। আজ এনডিআরএফ ও নৌসেনার ডুবুরিরা সুড়ঙ্গের মুখ দেখে এসেছেন। উপযুক্ত পাটাতনের অভাবে ভারি পাম্পগুলি আজও কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি।

Advertisement

উদ্ধার অভিযানের নেতা এনডিআরএফের সহকারী কম্যান্ডান্ট সন্তোষকুমার সিংহ ও খনি উদ্ধার বিশেষজ্ঞ যশবন্ত গিল জানান, সাড়ে তিনশো ফুট গভীর গর্তের তলায় কী আছে তার আনুমানিক মানচিত্র শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তৈরি করা হয়েছে। এনডিআরএফ জলের নীচে ৪০ ফুট পর্যন্ত নেমে উদ্ধারকার্য চালাতে পারে। কিন্তু গুহায় জলের গভীরতা প্রায় ৭০ ফুট। নৌসেনার পক্ষেও অত নীচে নেমে কাজ করা কঠিন। একটি নৌকো নীচে নামিয়ে সেটিকে পাটাতন হিসেবে ব্যবহার করে এনডিআরএফের এক ও নৌসেনার পাঁচ ডুবুরি আজ জলে নামেন। সন্তোষ জানিয়েছেন, চার ঘণ্টার অভিযানে সুড়ঙ্গের মুখ দেখে এসেছেন নৌসেনার ডুবুরিরা। কিন্তু একেবারে তলায় নামতে পারেননি। এনডিআরএফের কর্তারা জানান, ভিতরে কুঁজো হয়ে বসে কাজ করেন শ্রমিকরা। এত ছোট সুড়ঙ্গে পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়েও উদ্ধারকারীরা কাজ করতে পারবেন না।

কোল ইন্ডিয়া আসানসোল, বিলাসপুর, ধানবাদ থেকে পাম্প আনাচ্ছে বটে। কিন্তু সেগুলি কবে পৌঁছবে তা কারও জানা নেই। ওড়িশা থেকে আনা ডিজেল পাম্প ব্যবহার করায় সমস্যা হচ্ছে। ১০টি পাম্প ছোট গুহামুখে ঢোকানো যাবে না। দু’টি পাম্প কাজে লাগালেও তা থেকে বার হওয়া ধোঁয়া গোটা গুহা বিষাক্ত করে তুলবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: তিন তালাক বিল নিয়ে আজ তৈরি দু’পক্ষই

জল পাশের নদী থেকে গুহায় ঢুকছে বলে প্রথমে জানা গিয়েছিল। আশপাশে পরীক্ষা চালিয়ে কোল ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞেরা জানান, আরও অন্তত ৯০টি খনি সেখানে আছে। বেশিরভাগই পরিত্যক্ত। তাদের মধ্যে কয়েক বছরের জল জমে আছে। কসানের গুহায় নদীর পাশাপাশি কোনও গুহার ফাটল থেকেও জমা জল ঢুকছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement