প্রতীকী ছবি।
ত্রিপুরার মান্দাইয়ে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম শ্যামল দেববর্মা ও বিকাশ দেববর্মা। আজ পশ্চিম ত্রিপুরার মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের আদালতে পেশ করা হলে তাদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মান্দাইয়ে উত্তেজনা থাকায় ধৃতদের পূর্ব থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। উল্লেখ্য, গত কাল আইপিএফটি বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিককে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল।
ত্রিপুরা পুলিশের আইজি কে ভি সৃজেশ জানিয়েছেন, আজ কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ দিন সকালে আসাম রাইফেলস, সিআরপি বাহিনী খুমলুঙে ‘ফ্ল্যাগ-মার্চ’ করে। বিকেলে জওয়ানরা যান মান্দাইয়ে। গত রাতে আইপিএফটি সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন সৃজেশ ও ডিআইজি অরিন্দম নাথ। আইজি-র বুকে ধারালো অস্ত্রে কোপ মারা হয়। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট থাকায় গুরুতর আঘাত লাগেনি। অরিন্দমবাবুকে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়। খোয়াই ও পশ্চিম ত্রিপুরার ১০টি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গুজব রুখতে রাজ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহাকরণে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরী অভিযোগ করেন, বিজেপির উস্কানিতেই ওই ঘটনা ঘটেছে। আইপিএফটি-কে প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। সাংবাদিকের খুন নিয়ে আইপিএফটি নেতৃত্ব এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি। সংগঠনের কোনও নেতা সংবাদমাধ্যমের ফোন ধরেননি। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করার জাবি জানিয়েছে মুম্বই, কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রেস ক্লাব।
এ দিন সকালে নিহত সাংবাদিকের দেহের ময়না তদন্ত করা হয়। হাসপাতালে যান বিদ্যুৎমন্ত্রী মানিক দে, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার পবিত্র কর| হাসপাতাল থেকে শান্তনুবাবুর দেহ নিয়ে মিছিল বের করেন সাংবাদিকরা। তা পৌঁছয় শান্তনুবাবুর বাড়ি জিরানিয়ায়। সেখানেও মানুষের স্রোত নামে।