মুহাম্মদ ইউনূস। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার এ বছরের ১৬ ডিসেম্বরও ঢাকায় বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে প্রথা মেনে ভারতে মুক্তিযোদ্ধা এবং সেনাকর্তাদের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ভানগুরু রঘু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ঢাকা থেকে প্রতিনিধিদল পাঠানোর বার্তা মিলেছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কলকাতা থেকেই মুক্তিবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকেরা দমদম বিমানবন্দর থেকে পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের তৎকালীন প্রধান তথা মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিংহ অরোরার সঙ্গে হেলিকপ্টারে ঢাকা উড়ে গিয়েছিলেন। তার পরে অরোরার সামনেই কাগজে সই করে পাক বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে নিয়াজ়ি আত্মসমর্পণ করেছিলেন। স্বাধীনতা লাভ করেছিল বাংলাদেশ।
তার পর থেকে দু’দেশেই ওই দিনটিকে পালন করে আসছে। ওই দিনটিতে প্রথা মেনে সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় পাড়ি দেয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা এবং সেনাকর্তাদের একটি দলও আসে ফোর্ট উইলিয়ামে। বাংলাদেশের ‘ভারত বন্ধু’ এবং ভারতের ‘বাংলাদেশ বন্ধু’ বিশিষ্টজনেদের উপস্থিতিতে নানা অনুষ্ঠানের রীতি রয়েছে। কিন্তু গত বছরের ৫ অগস্ট গণবিক্ষোভের জেরে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যবাদী আওয়ামী লীগের সরকারের পতন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরে পরিস্থিতি বদলে যায়। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সময় মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মারক ভাঙা পড়েছে। এমনকি, বন্ধ হয়েছে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ। যদিও গত বছরের ১৬ অগস্ট ভারতের আমন্ত্রণে ফোর্ট উইলিয়ামে আয়োজিত কর্মসূচিতে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।