এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
২০ বছরের নার্সিং পড়ুয়া এক তরুণীর গলা-কাটা দেহ উদ্ধার হল রাজস্থানে। শুক্রবার রাতে রাজস্থানের খৈরথাল-তিজারা জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। পরিবারের দাবি, অপহরণের পর ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যায় মুন্দওয়ার থানার অন্তর্গত এক বহুতলের একটি ভাড়াবাড়ি থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহের গলায় গভীর ক্ষত ছিল। সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ের বাসিন্দা এক তরুণকে। নিহত ছাত্রীর বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে খুন করেছেন ওই যুবক। শুধু তা-ই নয়, পুলিশ আসতেই ২১ বছরের ওই তরুণ ঘটনাস্থল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। সে সময় তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ও নিহত তরুণী একই বহুতলে ভাড়া থাকতেন। অন্য দিকে, ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে হাইওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। মুন্দওয়ার স্টেশন হাউস অফিসার রামনিবাস মীনা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতরও শুরু হয়েছে। রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা টিকারাম জুলি। রাজস্থানে নারীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘মুন্দওয়ারে একজন নার্সিং ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে গলা কেটে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, রাজস্থানে মহিলারা একেবারেই নিরাপদ নন। দিন দিন মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। কিন্তু বিজেপি সরকার সব দেখেও চোখ-কান বন্ধ করে রেখেছে।’’