ছত্তীসগঢ়ে আত্মসমর্পণ ২৩ মাওবাদীর। ছবি: সংগৃহীত।
ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনে এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় বার সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ মাওবাদী বাহিনীর। দন্তেওয়াড়া, নারায়ণপুরের পরে এ বার সুকমা জেলায়। শনিবার ১১ কমান্ডার-সহ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র ২৩ জন জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের মাথার মোট দাম ছিল ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা।
আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা পিএলজিএ-র সবচেয়ে দক্ষ বাহিনী হিসেবে পরিচিত ১ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদস্য বলে জানিয়েছেন সুকমার পুলিশ সুপার কিরণ চহ্বাণ। তিনি বলেন, ‘‘মাওবাদী নেতা-কর্মীদের দ্রুত মোহভঙ্গ হচ্ছে। তাই আত্মসমর্পণের প্রবণতা বাড়ছে।’’ তিনি জানান, আত্মসমর্পণকারী লোকেশ ওরফে পোডিয়াম ভীমা, রমেশ ওরফে কালমু কেসা, কাওয়াসি মাসা, মাদকাম হুঙ্গা, নুপ্পো গাঙ্গি, পুনেম দেবে, পারস্কি পান্ডে, মাদভি জোগা, নুপ্পো লাচ্চু, পোডিয়াম সুখরাম এবং দুধি ভীমার প্রত্যেকের মাথার উপর ৮ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার ঘোষিত ছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের উপস্থিতিতে তাঁরা আত্মসমর্পণ করেন।
বুধবার দন্তেওয়াড়া জেলায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন দুই মহিলা-সহ ১২ জন মাওবাদী জঙ্গি। পুলিশ জানিয়েছে, এঁদের মধ্যে ন’জনের মাথার উপর মোট ২৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ছিল। শুক্রবার নারায়ণপুর জেলায় মাঢ় ডিভিশনাল কমিটির তিনটি এরিয়া কমিটির কমান্ডার এবং সদস্য মিলিয়ে ২২ জন জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেন। তাঁদের মাথায় দাম ছিল ২৮ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশকে মাওবাদী মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ছত্তীসগঢ় পুলিশের দাবি, সেই সময়সীমার মধ্যেই একদা ‘রেড করিডোর’ বস্তারে পুরোপুরি শান্তি ফিরবে।