ভোটে অসম

অসমে ২৫২টি মডেল বুথ

অসমের বিভিন্ন চর ও চা বাগান এলাকার বাসিন্দাদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার উপর গুরুত্ব দেবে নির্বাচন কমিশন— দু’দিনের অসম সফরের পর সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার নসীম জৈদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৬ ০৩:০০
Share:

অসমের বিভিন্ন চর ও চা বাগান এলাকার বাসিন্দাদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার উপর গুরুত্ব দেবে নির্বাচন কমিশন— দু’দিনের অসম সফরের পর সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার নসীম জৈদী।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভোট ঘিরে বিভিন্ন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। সেই মতো ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন।’’ বিশেষ করে উপজাতি অধ্যূষিত এলাকা ও চর এলাকায় বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দেন জৈদী। চর এলাকায় ডিএসপি ও সেক্টর ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বাহিনী পাঠানোর সুপারিশ করেছে কমিশন। সব সংবেদনশীল বুথে থাকছে সিসিটিভি। কমিশনের হিসেবে, রাজ্যে লাইসেন্স থাকা ৩২০০৩টি অস্ত্রের মধ্যে ইতিমধ্যে ২৩৭৯৭টি জমা পড়েছে। ৫১৪টি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাজ্যে ভোটারের সংখ্যা এক কোটি ৯৯ লক্ষ। মোট ২৪৮৮৮টি বুথের মধ্যে ৪০ শতাংশ বুথেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। ১২ শতাংশ বুথে নেই শৌচালয়। সব বুথে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধে দেওয়ার জন্য রাজ্যের কাছে আবেদন জানান জৈদী। তিনি জানান, রাজ্যে ২৫২টি মডেল বুথ হচ্ছে। সেখানে ভোটদাতাদের স্বাগত জানানো হবে। চা বাগানের মহিলাদের মধ্যে ভোট নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার, গ্যাসের সিলিন্ডারে ভোটের তারিখ ও ভোটদানের আবেদন জানিয়ে স্টিকার, গাড়িতে ইভিএম মেশিন বসিয়ে বিভিন্ন গ্রামে ইভিএম ব্যবহার শেখানো, আশা কর্মীদের কাছ থেকে গর্ভবতী মহিলা ভোটারদের তালিকা যোগাড় করে তাঁদের বুথে আনার বিশেষ ব্যবস্থা করছে কমিশন। রাজ্যে সক্রিয় ৩৮৯টি ফ্লাইং স্কোয়াড এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ১২ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। এদিকে, রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে খবর, লখিমপুর, নগাঁও এবং ডিমা হাসাও জেলার জেলাশাসক এবং লখিমপুর, হাইলাকান্দি, নগাঁও, বিশ্বনাথ জেলার এসপি দের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের বিস্তর অভিযোগ কমিশনে এসেছে। তাই, ওই ডিসি ও এসপিদের বদলি করা হতে পারে।

কমিশনকে চিঠি বিজেপি প্রার্থীর। পরিবারের এক জন সদস্য যাতে অন্য সবার ভোট দিতে না পারেন, সে জন্য নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চাইলেন দক্ষিণ করিমগঞ্জ আসনের বিজেপি প্রার্থী শিপ্রা গুণ। তিনি এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে অভিযোগ করেছেন— দক্ষিণ করিমগঞ্জ আসনে তিন বারের বিজয়ী প্রার্থী তথা অসমের মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদ প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বুথ দখল করান। পরিবারের এক জন সদস্য ভোটকেন্দ্রে গিয়ে বাড়ির সব ভোট দিয়ে দেন। কংগ্রেস প্রার্থী সিদ্দেক বলেন, ‘‘এ সবই অপপ্রচার। কোনও ভাবেই বিরোধী প্রার্থীরা এখানে জিততে পারছেন না বলে কুৎসা রটানো হচ্ছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন