—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ইন্ডিগোর বিপর্যয়ে দায় কার কার, তার তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু এই বিপর্যয়ে কঠোর পদক্ষেপের কথা জানিয়েছিলেন। এ বার ইন্ডিগোর চার কর্তাকে বরখাস্ত করল ডিজিসিএ। কর্তব্যে গাফিলতির কারণেই কি বিমান সংস্থার উড়ান পরিষেবা দেখভালের দায়িত্বে থাকা (ফ্লাইট অপারেশন ইনস্পেক্টর) চার জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল কেন্দ্র? যদিও ডিজিসিএ-র তরফে বরখাস্ত করার কোনও কারণ দর্শানো হয়নি।
গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইন্ডিগোর একের পর এক উড়ান বাতিল হয়েছে। আগের তুলনায় শুক্রবার পরিস্থিতির বেশ কিছুটা উন্নতি হলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ইন্ডিগোর ৫৪টি উড়ান বাতিল হয়েছে। কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থা। এই সঙ্কটে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। কেন্দ্রের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, তারা এই বিপর্যয়ের মূল কারণ খুঁজে বার করবে। কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, যাঁরা এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী, তাঁদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। প্রয়োজনে ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সকেও বরখাস্ত করা হতে পারে।
তদন্তের স্বার্থে পিটারকে বুধবারই নোটিস পাঠিয়ে কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশমতো বৃহস্পতিবার তিনি হাজিরা দেন। তাঁকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর। শুক্রবারও তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তার আগেই ইন্ডিগোর বিমান পরিচালনার তদারকির দায়িত্বে থাকা চার কর্তাকে বরখাস্ত করল ডিজিসিএ।
বিপর্যয়ের পর পরই ইন্ডিগোর সিইও-র সঙ্গে বৈঠক করেন নায়ডু। তিনি এ-ও জানান, শুধু ইন্ডিগো নয়, ডিজিসিএ-কেও তদন্তের আওতায় আনা হবে। গত কয়েক দিনে কী ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে ডিজিসিএ, তা খতিয়ে দেখা হবে।