—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
গত তিন দিনে ২৮টি কৃষ্ণসার হরিণের মৃত্যু! কর্নাটকের বেলাগাভি চিড়িয়াখানায় এ বার পর পর কৃষ্ণসার হরিণের মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। কী ভাবে তাদের মৃত্যু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিলেন কর্নাটকের বনমন্ত্রী ঈশ্বর খানদ্রে।
বেলাগাভির কিত্তুররানি চেন্নাম্মা চিড়িয়াখানার আধিকারিক নাগরাজ বানাসুরি জানান, দিন দুয়েক আগে আটটি কৃষ্ণসার হরিণের মৃত্যু হয়েছিল। শনিবার আরও ২০টি কৃষ্ণসার হরিণ প্রাণ হারায়। ওই চিড়িয়াখানায় ৩৮টি কৃষ্ণসার হরিণ ছিল। তার মধ্যে ২৮টি হরিণের মৃত্যু হল। কী ভাবে একসঙ্গে এতগুলি হরিণের মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
তবে ওই চিড়িয়াখানার পশুচিকিৎসকের অনুমান, কোনও ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হরিণগুলির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে পরীক্ষার আগে প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা মৃত হরিণগুলির ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠিয়েছি। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।’’
বিরল কৃষ্ণসার হরিণের মৃত্যু নিয়ে শোরগোল পড়তেই তদন্তের নির্দেশ দেন কর্নাটকের বনমন্ত্রী। তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, কোনও সংক্রমণের কারণে হরিণগুলির মৃত্যু হয়েছে। তবে কী কারণে বা কোথা থেকে সংক্রমণ ছড়াল, তা নিশ্চিত নয়। ওই চিড়িয়াখানার অন্য প্রাণীরা যাতে সংক্রমিত না-হয়, সে বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী মনে করেন, এই সংক্রমণ জল বা খাবার থেকে ছড়িয়েছে, না কি কোনও গৃহপালিত পশুর থেকে, তা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞদের কমিটি গঠন করা উচিত। তিনি এ-ও জানান, ভবিষ্যতে যাতে চিড়িয়াখানায় এ ভাবে পর পর পশুমৃত্যুর ঘটনা না ঘটে, সে দিকে নজর রাখতে হবে। যদি এই হরিণগুলির মৃত্যুর নেপথ্যে চিড়িয়াখানার কোনও কর্মীর অবহেলার বিষয় প্রকাশ্যে আসে, তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।