—প্রতীকী চিত্র।
ত্রিপুরার খোয়াই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় তিন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লি-ঢাকা কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হল। নিহতদের পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছে।
অন্য দিকে, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে, ওই তিন জন বাংলাদেশি নাগরিক বুধবার গরু চুরি করতে ভারতে ঢুকেছিলেন। ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৩ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে বিদ্যাবিল গ্রামে বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। সে কারণেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘নিহতদের দেহ বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং ঘটনায় পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
আন্তর্জাতিক সীমান্তে গরু পাচার চুরি-ডাকাতি, মাদক চোরাচালানের মতো অপরাধমূলক কার্যকলাপ রুখতে বাংলাদেশ সরকারের আরও কঠোর পদক্ষেপ করার প্রয়োজন বলে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে, নিহত তিন জনই তাদের দেশের নাগরিক। এরা হলেন, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পণ্ডিত মিয়া (৪০), সজল মিয়া (২৫) ও জুয়েল মিয়া (৩৫)। তাঁরা পেশায় দিনমজুর ছিলেন বলে বাংলাদেশ পুলিশের দাবি। কিন্তু কেন তাঁরা রাতের অন্ধকারে সীমান্ত লঙ্ঘন করে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছিলেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি ঢাকা।