দিল্লির কিশোর মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত
শৌচাগারে নয়, রাস্তার ধারেই প্রস্রাব করছিলেন কয়েক জন যুবক। আর তারই প্রতিবাদ করেছিলেন বছর বত্রিশের রবীন্দ্র। কিন্তু, পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার সেই আর্জি জানাতে গিয়ে ‘পুরস্কার’ হিসাবে জুটল বেধড়ক মার। আর সেই মারেই মৃত্যু হল রবীন্দ্রের।
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির জিটিবি মেট্রো স্টেশন এলাকায়। পেশায় ই-রিকশাচালক রবীন্দ্র, দিল্লির কিশোর মার্কেট এলাকার বাসিন্দা। প্রতি দিনের মতোই শনিবার নিজের রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রবীন্দ্র। মেট্রো স্টেশনের কাছেই তাঁর রিকশাটি রাখা ছিল। হঠাৎই দেখতে পান, মেট্রো স্টেশনের গায়েই প্রস্রাব করছেন দু-তিন জন যুবক। তৎক্ষণাৎ এগিয়ে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটা রবীন্দ্রর বরাবরের অভ্যাস। কেউ রাস্তা নোংরা করছে দেখলেই প্রতিবাদ করে থাকেন তিনি। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু তার ফল যে এতটা মারাত্মক হতে পারে তা বোধহয় ভাবতেও পারেননি রবীন্দ্র।
আরও পড়ুন: রাতের স্টেশনে ছিনতাই রুখতে গিয়ে জখম ছাত্রী
এ দিন প্রতিবাদ জানানোর পরেই রবীন্দ্রর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন যুবকদের দলটি। একপ্রস্ত ঝামেলার পর ফিরেও গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু রণে যে ভঙ্গ দেননি তা বোঝা যায় কিছু ক্ষণের মধ্যেই। রাত আটটা নাগাদ প্রায় পনেরো-কুড়ি জনের একটি দল ফিরে আসে ওই এলাকায়। ঝাঁপিয়ে পড়ে রবীন্দ্রর উপর। বেধড়ক মারের পর রবীন্দ্রকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফেলে রেখে ফিরে যায় তাঁরা। ওই অবস্থাতেই কোনও রকমে তাঁর ভাইকে ফোন করেন রবীন্দ্র। তাঁকে স্থানীয় বরা হিন্দু রাও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দিল্লি নর্থ-ওয়েস্ট-এর পুলিশ কমিশনার মিলিন্দ দমবেরে জানিয়েছেন, ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অপরাধীরা আইনমাফিক শাস্তি পাবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।