National News

ডাকাতি করতেই ৩৩ জন ট্রাকচালক ও হেল্পারকে খুন!

মধ্যপ্রদেশ পুলিশ মঙ্গলবার জানিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে এই চক্র। ওই চক্রের ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:০৫
Share:

মধ্যপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, চার রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে ছিল এই খুনি চক্রের সদস্যরা। ছবি: এএফপি।

বেছে বেছে ট্রাকচালকদেরই নিশানা বানানো হত। উদ্দেশ্য ছিল, ট্রাকের মালপত্র লুঠ করা। সে জন্য এক-দু’জন নয়, ৩৩ জন ট্রাকচালক ও হেল্পারকে খুন করা হয়! এ ভাবেই চলছিল গত আট বছর। কিন্তু সপ্তাহ দুয়েক আগে পুলিশের জালে ধরা পড়ে নয় দুষ্কৃতী।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশ পুলিশ মঙ্গলবার জানিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে এই চক্র। ওই চক্রের ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভোপালের ডিআইজি ধর্মেন্দ্র চৌধরি বলেন, “২০১০ সাল থেকেই মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ় এবং ওড়িশা— এই চার রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে ছিল এই চক্রের সদস্যরা।” পুলিশের দাবি, জেরায় নিজেদের অপরাধ কবুল করেছে ওই দুষ্কৃতীরা। এই চক্রের বিষয়ে অন্য রাজ্যগুলিকেও সতর্ক করবে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ।

কী ভাবে শিকার ধরত তারা?

Advertisement

আরও পড়ুন
গাঁইতি দিয়ে দুই পুলিশকর্মীকে জখম করে থানা থেকে পালাল ধৃতেরা, মৃত ১

ধর্মেন্দ্র চৌধরি বলেন, “রাস্তার ধারের খাবারের দোকানের ওত পেতে থাকত ওই অভিযুক্তরা। প্রথমে ট্রাকচালকদের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে তাঁদের পানীয়ে মাদক মিশিয়ে দিত। ঘুমিয়ে পড়লে তাঁদের খুন করে ট্রাক নিয়ে চম্পট দিত তারা। এর পর ট্রাকের মালপত্র বেচে দিত।”

এ ভাবেই চলছিল বছর আটেক। কিন্তু সপ্তাহ দুয়েক আগে ধরা পড়ে গেল তারা। ওই ক’বছরে ৩৩ জন ট্রাক চালক ও হেল্পারকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ভোপালের বাসিন্দা বছর তিরিশের জয়কর্ণ প্রজাপতি এবং পঞ্চাশ বছরের আদেশ খামব্রা। আদেশের বাড়ি ভোপালের কাছে মান্ডিদীপ শিল্পাঞ্চলে। এই দু’জনই ওই চক্রের মূল পাণ্ডা বলে দাবি পুলিশের।

আরও পড়ুন
ভারাভারাদের গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ বাড়ল ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

পুলিশের আরও দাবি, খুনের পর মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, বিহার-সহ বিভিন্ন রাজ্যে ট্রাকের মালপত্র ও যন্ত্রাংশ বেচে দিত অভিযুক্তরা। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ট্রাক, ওষুধপত্র, খাবারদাবার ও লোহার রড-সহ অন্যান্য মালপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ দিন আদালতে তোলা হলে ধৃতদের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, জয়কর্ণ এবং আদেশের থেকে থেকে একটি ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাতেই নিজেদের শিকার ওই ট্রাকচালকদের মোবাইল নম্বর লিখে রাখত জয়কর্ণ এবং আদেশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন