National news

‘চুলে ছাই মেখে বিনা বাধায় শবরীমালায় ঢুকেছি’, দাবি মঞ্জুর

বিন্দু, কনকদুর্গা, শশিকলার পর মঞ্জু। শরবীমালা মন্দিরে ঢুকে তিনিও আয়াপ্পাস্বামীর পুজো দিয়েছেন। তা-ও আবার বিনা বাধায়!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:১৬
Share:

মঞ্জু নামে এই মহিলাই আয়াপ্পাস্বামীর দর্শন করার দাবি করেছেন। ছবি: সংগৃহীত।

বিন্দু, কনকদুর্গা, শশিকলার পর মঞ্জু। শরবীমালা মন্দিরে ঢুকে তিনিও আয়াপ্পাস্বামীর পুজো দিয়েছেন। তা-ও আবার বিনা বাধায়!

Advertisement

সম্প্রতি ‘রেনেসাঁ কেরল টুওয়ার্ডস শবরীমালা’ নামে একটি গ্রুপ ফেসবুকে মঞ্জুর ছবি এবং ভিডিয়ো দিয়ে ওই দাবি জানিয়েছে। কেরলের ত্রিসুরের বাসিন্দা মঞ্জু। বয়স ৩৬ বছর। ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট হওয়া একটি ভিডিয়োয় মঞ্জুকেও ওই দাবি করতে শোনা গিয়েছে। তাতে মঞ্জু বলছেন, ‘‘৮ জানুয়ারি আমি শবরীমালায় ঢুকেছিলাম। ত্রিসুর থেকে এসেছিলাম বাসে করে। কোথাও কোনও বাধা পাইনি। মন্দিরের ভিতরেও ২ ঘণ্টা কাটিয়েছি।’’

অন্য মহিলা ভক্তেরা যেমন মন্দিরে পৌঁছনোর জন্য পুলিশের সহায়তা নিয়েছেন, মঞ্জু কিন্তু একেবারেই তা করেননি। এর আগে গত অক্টোবরে মঞ্জু এক বার মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পেম্বার পর আর এগোতে পারেননি। এ বার বিনা বাধায় কী ভাবে মন্দির পর্যন্ত পৌঁছলেন মঞ্জু?

Advertisement

আরও পড়ুন: ধর্মঘটের ‘শাস্তি’! কারখানায় ঢুকতেই পারলেন না কর্মীরা, অভিযুক্ত তৃণমূল

‘রেনেসাঁ কেরল টুওয়ার্ডস শবরীমালা’ নামে ফেসবুক গ্রুপ থেকে জানা গিয়েছে, মঞ্জু নিজেকে বয়স্ক দেখানোর জন্য চুলে সাদা রং করেছিলেন। ফলে তিনি যে আসলে এক জন ৩৬ বছরের যুবতী, তা বুঝতেই পারেননি মন্দির কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু চুলে রং করে বয়স ভাঁড়িয়ে মন্দিরে প্রবেশ করার মধ্যে কি সাফল্যের কিছু রয়েছে? চুল রং করার প্রসঙ্গে মানতে চাননি মঞ্জু। তিনি বলেন, ‘‘আমি বৃদ্ধ সেজে মন্দিরে প্রবেশ করিনি। প্রবেশের সময় আমি পবিত্র ছাই মাথায় লাগিয়েছিলাম। অনেকেই আমাকে চিনতে পেরেছিলেন এবং সজ্ঞানে আয়াপ্পার দর্শনে সাহায্যও করেছেন তাঁরা।’’

আরও পড়ুন: নিজেদের তৈরি করা হিংসাতেই ভুগছেন কাশ্মীরিরা, মন্তব্য সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের

মঞ্জু আরও বলেন, ‘‘বিন্দু আর কনকদুর্গা প্রবেশের পর মন্দিরের শুদ্ধিকরণ করা হয়েছিল। আমি মঙ্গলবার প্রবেশ করেছি মন্দিরে, এখনও কোনও শুদ্ধিকরণ হয়নি। এর অর্থ মহিলাদের আয়াপ্পাস্বামীর মন্দিরে প্রবেশ বাস্তবে মেনে নিচ্ছেন ভক্তেরা। আমার মনে হয়, খুব তাড়াতাড়ি এই বাধা দূর হবে এবং সমস্ত মহিলা ভয়হীন ভাবে শবরীমালায় প্রবেশ করতে পারবেন।’’

সম্প্রতি বিন্দু, কনকদুর্গা, শশিকলা নামে তিন মহিলা মন্দিরে ঢুকতে সমর্থ হন। সেই খবর সামনে আসার পরেই ব্যাপক বিক্ষোভ হয় কেরল জুড়ে। এর পর কেরল পুলিশ একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে আনে। তাতে দাবি করা হয়, শুধু বিন্দু, কনকদুর্গা, শশীকলা নন, সব মিলিয়ে মোট ১০ জন ১০-৫০ বছর বয়সী মহিলা আয়াপ্পাস্বামীর মন্দিরে প্রবেশ করেছেন। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন অবশ্য এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন, ঠিক কত জন ভিতরে প্রবেশ করেছেন, সঠিক সংখ্যা তাঁর জানা নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন