Periods

ঋতুস্রাবের জন্য নবরাত্রি পালন করতে পারবেন না! অনুশোচনায় বিষ খেলেন উত্তরপ্রদেশের বধূ

স্বামীকে দিয়ে ফুল, মিষ্টি ইত্যাদি বাজার করিয়েছিলেন। তার মধ্যে ঋতুস্রাব শুরু হওয়ায় মনখারাপ হয়ে যায় স্ত্রীর। তিনি অনুশোচনায় আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের দাবি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ১১:২৮
Share:

প্রিয়াংশা সোনি। কয়েক দিন আগে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এই মহিলা। ছবি: সংগৃহীত।

স্বামীকে দিয়ে ফুল, মিষ্টি ইত্যাদি বাজার করিয়েছিলেন। তার মধ্যে ঋতুস্রাব শুরু হওয়ায় মনখারাপ হয়ে যায় স্ত্রীর। তিনি অনুশোচনায় আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের দাবি।

Advertisement

নবরাত্রির ব্রত রাখবেন ভেবেছিলেন। স্বামীকে দিয়ে ফল, মিষ্টি-সহ পুজোর নানা উপকরণ আনিয়েছিলেন। তবে এর মধ্যে ঋতুস্রাব শুরু হয় প্রিয়াংশা সোনির। তা হলে তো পুজো দেওয়া হবে না? ব্রত করা যাবে না! পরিবারের দাবি, এই ভেবে নিজে শেষ করে দিয়েছেন ৩৬ বছরের ওই বধূ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে।

প্রিয়াংশার স্বামী মুকেশ সোনি জানিয়েছেন, স্ত্রী চৈত্র নবরাত্রি পালনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। মুকেশের কথায়, ‘‘ওর কথা মতো ফুল, ফল, মিষ্টি, প্রদীপ ইত্যাদি বাজার থেকে এনেছিলাম। মা দুর্গার আরাধনার জন্য অনেক পরিকল্পনা ছিল ওর। কিন্তু নবরাত্রির পয়লা দিন ওর মাসিক শুরু হয়। সে জন্য প্রার্থনায় বসেনি।’’ তিনি আরও জানান, গত এক বছর ধরে স্ত্রী নবরাত্রি পালনের ‘প্রস্তুতি’ নিয়েছেন। কিন্তু ঋতুস্রাবের কারণে মনমরা হয়ে যান। তিনি অনেক বার স্ত্রীকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। বলেছেন, পরের বার ব্রত করবেন। কিন্তু স্ত্রী মনখারাপ কাটিয়ে উঠতে পারেননি। বস্তুত, ঋতুস্রাবের সময় পুজো, ব্রতপালন ইত্যাদি করা যাবে না, এমন সংস্কার অনেকের মধ্যে আছে। বিভিন্ন পরিবারে এ নিয়ে নানা বিধিনিষেধ থাকে। মুকেশ জানিয়েছেন স্ত্রীরও এমন ‘সংস্কার’ ছিল।

Advertisement

দিন কয়েক আগে কাজে বেরোনোর আগে স্ত্রীকে কান্নাকাটি করতে দেখে তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন স্বামী। তিনি জানান, কাজ থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন বিষ খেয়েছেন প্রিয়াংশা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। ভালও হয়ে উঠছিলেন। স্ত্রী বলেছিলেন, একটা ভুল করে ফেলেছেন।

স্ত্রীর মন ভাল করার জন্য কয়েকটা দিনের জন্য তাঁকে তাঁর বাপের বাড়িতে রেখে এসেছিলেন মুকেশ। কিন্তু হঠাৎ করে প্রিয়াংশার শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। আবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি বধূকে। মুকেশ এবং প্রিয়াংশার দুই সন্তান। বড় মেয়ের বয়স ৩ বছর, ছোট ২ বছরের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement