Maoists Killed

মহারাষ্ট্রের মাওবাদী ডেরায় হানা দিল যৌথবাহিনী, গুলির লড়াইয়ে নিহত অন্তত চার জন জঙ্গি

মহারাষ্ট্র পুলিশ সূত্রের খবর, নিহতেরা নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র সহযোগী পেরিমিলি এবং টিপাগড় দলমের সদস্য।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৫ ১৬:৪৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ছত্তীসগঢ়ের বস্তারের পরে এ বার মহারাষ্ট্রের গঢ়চিরৌলী। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে আবার রক্ত ঝরল মাওবাদীদের। সিআরপিএফ এবং মাওবাদী দমনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহারাষ্ট্র পুলিশের বিশেষ বাহিনী ‘সি-৬০’-র যৌথ অভিযানে মৃত্যু হয়েছে অন্তত চার জন মাওবাদীর।

Advertisement

মহারাষ্ট্র পুলিশ সূত্রের খবর, নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র সহযোগী পেরিমিলি এবং টিপাগড় দলমের সদস্যদের গতিবিধির কথা সূত্র মারফত জানতে পেরে বৃহস্পতিবার থেকে অভিযান শুরু হয় ছত্তীসগঢ় সীমানা লাগোয়া এলাকায়। কাওয়ান্ডে এলাকার খোলার জঙ্গলে সি-৬০ বাহিনীর ‘ফরওয়ার্ড অপারেটিং বেস’ (এফওবি) থেকে অভিযান শুরু হয়। প্রায় ৩০০ কমান্ডো অভিযানে অংশ নেন। ছত্তীসগঢ়ের সুকমাতেও যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে শুক্রবার এক মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।

অন্য দিকে, সীমানার ওপারে ছত্তীসগঢ়ের দিক থেকে ইন্দ্রাবতী নদীর তীর বরাবর নেলগুন্ডা অভিমুখে তল্লাশি অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় আধাসেনা সিআরপিএফ। মহারাষ্ট্র পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরে দুই বাহিনীর ‘জাঁতাকলে’ পড়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করেন মাওবাদী গেরিলারা। সে সময় গুলির লড়াইয়ে চার জন নিহত হন। বাকিরা ঘন জঙ্গলে গা ঢাকা দেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি স্বংয়ক্রিয় রাইফেল, দু’টি .৩০৩ রাইফেল, একটি শটগান, বিস্ফোরক, ওয়াকিটকি, ক্যাম্পিং উপকরণ-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনের নারায়ণপুর জেলার জঙ্গলে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ২৭ জন সঙ্গী-সহ সিপিআই(মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজ ওরফে গগন্না নিহত হয়েছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement