JNU

জেএনইউ-এ গাড়ি নিয়ে তাণ্ডব! শ্লীলতাহানি এবং অপহরণ করার চেষ্টার অভিযোগ দুই ছাত্রীর

গভীর রাতে মত্ত অবস্থায় গাড়ি নিয়ে দুই পড়ুয়াকে অপহরণের চেষ্টা। দুই পড়ুয়া চিৎকার করলে তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। লোকজন ছুটে আসার আগেই গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ০৯:৫৫
Share:

— প্রতীকী ছবি।

রাতের অন্ধকারে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-তে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দুই পড়ুয়াকে শ্লীলতাহানি এবং অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। এক ছাত্রকে মারধর করারও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে নেমে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে শুরু তল্লাশি।

Advertisement

ভারতের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জেএনইউ প্রথম সারিতে থাকবে। সেই শিক্ষাঙ্গনেই তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গভীর রাতে মত্ত অবস্থায় গাড়ি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দুই পড়ুয়াকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। দুই পড়ুয়া চিৎকার করলে তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। লোকজন ছুটে আসার আগেই গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই এক পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করারও।

দু’টি ঘটনাতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম অভিষেক। তিনি একটি কলেজের বিটেকের ছাত্র। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

বুধবার সকালে দায়ের করা জেএনইউয়ের দুই ছাত্রীর অভিযোগ, রাতে খাওয়াদাওয়ার পর দুই বন্ধুতে মিলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের মধ্যেই হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। আচমকাই তাঁরা দেখেন, সামনে দিয়ে দ্রুত গতিতে একটি গাড়ি আসছে। গাড়িটি তাঁদের ঠিক সামনে ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যায়। গাড়ি থেকে নেমে আসেন পাঁচ মত্ত যুবক। তাঁরা দুই ছাত্রীকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। ছাত্রীরা চিৎকার করতে শুরু করলে তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয়। গোটা ঘটনাটি ঘটেছে এমন জায়গায় যেখানে সিসিটিভি লাগানো নেই।

অন্য অভিযোগটি দায়ের করেছেন এক গবেষক ছাত্র। তাঁর অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর গেটের কাছে একটি জায়গায় গাড়ির সবক’টি দরজা খুলে বসেছিলেন পাঁচ যুবক। তাঁরা আইসক্রিস খাচ্ছিলেন। গাড়ির দরজা হাট করে খোলা থাকায় যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল অন্যান্যদের। তা বলতে গিয়েছিলেন ওই গবেষক ছাত্র। কিন্তু দরজা বন্ধ করা তো দূর, গবেষকের কথা শুনেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারে একটি ‘সুইফট ডিজ়্যায়ার’ গাড়ির কথা উল্লেখ আছে। সিসিটিভি ক্যামেরাতেও সেই গাড়ির চক্কর কাটার ছবি ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে। যদিও পুলিশ একে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা বলে মানছে না। তাদের দাবি, কিছু দুষ্কৃতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে অপরাধ করার চেষ্টা করেছিল, তাদের সকলকেই গ্রেফতার করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement