Jadavpur University Student Death Case

যাদবপুরকাণ্ডে প্রাক্তন এবং বর্তমান মিলিয়ে আরও ছ’জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করল পুলিশ

পুলিশ সূত্রে খবর, দুপুর ৩টেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায় এবং রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৩ ০৮:৫০
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। — ফাইল ছবি।

যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় আরও ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এ নিয়ে যাদবপুরকাণ্ডে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হল ন’জন। সূত্রের খবর, রাতভর অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকেরা। বুধবারই ধৃত ছ’জনকে আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে পাওয়ার চেষ্টা করবে পুলিশ। ঘটনার দিন রাতে ধৃত ন’জনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল বলে এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছে পুলিশ।

Advertisement

সূত্রের খবর, ধৃত মহম্মদ আরিফ আদতে জম্মুর বাসিন্দা। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। থাকতেন যাদবপুরের প্রধান ছাত্রাবাসে। আসিফ আফজল আনসারি যাদবপুরের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া। বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানে। উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া অঙ্কন সরকার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার বাসিন্দা অসিত সর্দার যাদবপুরের সংস্কৃতের প্রাক্তন পড়ুয়া। প্রাক্তন ছাত্র সপ্তক কামিল্যা এবং সুমন নস্কর— এই ছ’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে অসিত, সপ্তক এবং সুমন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। বাকিরা বর্তমান পড়ুয়া।

পুলিশ সূত্রে খবর, অসিতকে কুলতলি, সপ্তককে এগরা এবং সুমনকে মন্দিরবাজার থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই তিন জন ঘটনার পর কলকাতা থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে আরও খবর, বুধবার দুপুর ৩টেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায় এবং রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন।

ধৃতদের জেরা করে নতুন কোনও নাম উঠে আসে কি না, সেটাই দেখার। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বুধবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকের নীচ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হয় প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পড়ুয়ার পরিবার র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলে। মৃত ছাত্রের বাবা পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে খুনের অভিযোগ করেন।

তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে তিন জনকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার রাতে লালবাজারের গোয়েন্দারা নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নামেন। সেই অভিযানে বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবারই তাঁদের আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পড়ুয়া রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন প্রাক্তনীরাও। লালবাজার সূত্রে খবর, তদন্তে উঠে এসেছে অন্তত ২০ জন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করে যাওয়ার পরেও ছাত্রাবাস আটকে রয়েছেন। তাঁদের ডাকার প্রক্রিয়াও চলছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তিন জনকে। তাঁরা হলেন বর্তমান ছাত্র দীপশেখর দত্ত, মনোতোষ ঘোষ এবং প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরী। তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে তাঁদের মোবাইল ফোনও। মঙ্গলবার ধৃত তিন জনের মোবাইল ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। মোবাইলে কী তথ্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement