— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মন্দির চত্বর ‘অপবিত্র’ করার অপরাধে অসুস্থ বৃদ্ধকে মারধর করা হল উত্তরপ্রদেশে। ঘটনাচক্রে, আক্রান্ত বৃদ্ধ একজন দলিত। সোমবারের ওই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন সূত্রে খবর, লখনউয়ের কাকোরি শহরের শীতলা মাতা মন্দিরে ঘটনাটি ঘটেছে। আক্রান্ত বৃদ্ধের নাম রামপাল। ৬৫ বছরের ওই দলিত বৃদ্ধকে মারধর এবং হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। হাতা হজরত সাহিব এলাকার বাসিন্দা রামপাল শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। সঙ্গে বয়সজনিত নানা অসুস্থতাও রয়েছে তাঁর। গত সোমবার মন্দিরের উঠোনে বসে থাকাকালীন অসুস্থতার কারণে ভুলবশত মন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে প্রস্রাব করে ফেলেন রামপাল। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন একদল যুবক। মন্দির ‘অপবিত্র’ হয়েছে বলে দাবি করে ওই বৃদ্ধকে ঘিরে ধরে হেনস্থা করতে থাকেন তাঁরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, মূল অভিযুক্তের নাম স্বামীকান্ত ওরফে পাম্মু। মূলত তিনিই ওই বৃদ্ধকে হেনস্থা করেন বলে দাবি। মারধরের পাশাপাশি মন্দির চত্বরকে ফের ‘পবিত্র’ করতে বৃদ্ধকে নিজের প্রস্রাব চাটতেও বাধ্য করেন তিনি। সঙ্গে সকলের সামনেই চলতে থাকে জাত তুলে অশ্রাব্য গালিগালাজ।
ঘটনার পরেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত বৃদ্ধ। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকান্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কাকোরির এসিপি শাকিল আহমেদ জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জনজাতি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্য দিকে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতরও তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস থেকে সমাজবাদী পার্টি— সকলেই ঘটনার সমালোচনায় সরব হয়েছে। কংগ্রেসের আরও দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর সক্রিয় কর্মী। যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি পুলিশ।