Maoist Surrender

ছত্তীসগঢ়ের দন্তেওয়াড়ায় এ বার এক সঙ্গে আত্মসমর্পণ করলেন ৭১ জন মাওবাদী নেতা-কর্মী

দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ২১ জন মহিলা, দুই নাবালিকা এবং এক নাবালক রয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৩৪
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আবার আত্মসমর্পণ মাওবাদী জঙ্গিদের। এ বার দন্তেওয়াড়া জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ২১ মহিলা-সহ আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীর সংখ্যা ৭১। এর মধ্যে ৩০ জনের মাথার মোট দাম ছিল ৬৪ লক্ষ টাকা।

Advertisement

দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে দুই নাবালিকা এবং এক নাবালক রয়েছে। রয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র নেতা বামন মডকাম এবং মানকি ওরফে সামিলা মান্ডভী। এঁদের প্রত্যেকের নামে ৮ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা ছিল। শামিলা ওরফে সোমলি কাওয়াসি, গাঙ্গি ওরফে রোহনি বারসে, দেবে ওরফে কবিতা মাডভী এবং সন্তোষ মান্ডাভীর মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ টাকা করে।

বস্তার ডিভিশনে পুলিশ ও সরকারের তরফে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসনের জন্য ‘লোন ভারাতু’ এবং ‘পুনা মারগেম’ কর্মসূচি চালু করার ফলেও ধারাবাহিক ভাবে অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফেরার প্রবণতা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন গৌরব। তিনি জানান, যাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন তারা রাজ্য সরকারের ‘নিয়াদ নেল্লানার’ (তোমার ভাল গ্রাম) প্রকল্পে পুনর্বাসন এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। প্রসঙ্গত, নেতা-কর্মীদের মূল স্রোতে ফেরাতে ২০২৪ সালে ছত্তীসগঢ় পুলিশ ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছিল। তার আগে ২০২০ সালের জুনে শুরু হয়েছিল ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ড ভাষায় যার অর্থ ‘তোমার বাড়ি ফিরে যাও’) পুনর্বাসন কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতিশ্রুতি মেনে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে রাজ্যকে মাওবাদী মুক্ত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি ‘নিয়াদ নেল্লানার’ কর্মসূচি শুরু করেছে ছত্তীসগঢ়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement