Covid 19 New Variant

২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত ৭৫২, মৃত ৬

চিকিৎসকদের বক্তব্য, বয়স্ক এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কোভিডের এই নতুন ভেরিয়েন্ট সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৫৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বছর শেষে আবার বাড়তে শুরু করেছে কোভিড সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৭৫২ জনের দেহে সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ছ’জন। তার মধ্যে তিন জন কেরলের, কর্নাটকের দু’জন এবং পঞ্জাবের এক জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, শনিবার দেশে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪২০। শুক্রবার এই সংখ্যাটা ছিল ২৮৮৭। বৃহস্পতিবার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ছিল ২৬৬৯। আক্রান্তদের বেশিরভাগই কেরলের বাসিন্দা। তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গোয়া, পুদুচেরি, গুজরাত, তেলঙ্গানা, পঞ্জাব এবং দিল্লিতেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

Advertisement

জেএন.১ এসেছে ‘পিরোলা’ ভেরিয়েন্ট বিএ ২.৮৬ থেকে, যা আদতে ওমিক্রনেরই সাব-ভেরিয়েন্ট। করোনার এই নতুন ভেরিয়েন্ট নিয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন ভয় পাওয়ার কারণ না থাকলেও, সতর্কতা ও সঠিক ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত জেএন.১ আক্রান্তদের শরীরে যে উপসর্গ দেখা গিয়েছে তা মৃদু। সাধারণ সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে যেমন উপসর্গ হয়, জেএন.১ আক্রান্তদের ক্ষেত্রে একই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।

যদিও চিকিৎসকদের বক্তব্য, বয়স্ক এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কোভিডের এই নতুন ভেরিয়েন্ট সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সাধারণ মানুষ যাতে আবার জনবহুল এলাকায় বা রাস্তাঘাটে মাস্ক পরেন, সেই বিষয়ে জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফরতর।

Advertisement

সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত করোনার নতুন ভেরিয়েন্টে আক্রান্তদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ রোগী বাড়িতেই নিভৃতবাস বা আইসোলেশনে রয়েছেন। সারা দেশের হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে ০.১ শতাংশকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছে। ১.২ শতাংশ রয়েছেন আইসিইউতে এবং ০.৬ শতাংশ রোগীকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, কোভিডের অন্যান্য যে সব ভেরিয়েন্ট এখন বেশি ছড়াচ্ছে, সেগুলির তুলনায় জেএন.১ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে কোনও প্রমাণ নেই। প্রতিষেধক কোভিডের গুরুতর ঝুঁকি এবং কোভিড-জনিত মৃত্যু অনেকটাই ঠেকাতে পারে বলেও উল্লেখ করেছে হু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন