এক পদ এক পেনশন চায় কমিশনও

ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশে বেতন বেড়েছিল প্রায় ৩৫%। সেখানে সপ্তম কমিশনের কথা মানলে বেতন, ভাতা ও পেনশন মিলিয়ে সরকারের খরচ বাড়ছে ২৩.৫৫%। যাঁর নেতৃত্বে এ বারের সুপারিশ, সেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক মাথুরের দাবি, ‘‘রাজকোষের হাল, মূল্যবৃদ্ধি, সব কিছু দেখেই এই প্রস্তাব।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:২৮
Share:

ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশে বেতন বেড়েছিল প্রায় ৩৫%।

Advertisement

সেখানে সপ্তম কমিশনের কথা মানলে বেতন, ভাতা ও পেনশন মিলিয়ে সরকারের খরচ বাড়ছে ২৩.৫৫%।

যাঁর নেতৃত্বে এ বারের সুপারিশ, সেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক মাথুরের দাবি, ‘‘রাজকোষের হাল, মূল্যবৃদ্ধি, সব কিছু দেখেই এই প্রস্তাব।’’ ইঙ্গিত, নইলে রাজকোষ ঘাটতি আর মূল্যবৃদ্ধির হার এক লাফে বেড়ে যেত অনেকখানি। আবার উল্টো দিকে অনেকে বলছেন, এই বৃদ্ধিই বা কম কী? কারণ, তা তো হিসেব হচ্ছে আগের বারে বেড়ে যাওয়া বেতন ও পেনশনের উপর। এক লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বাড়তি খরচ চাপছে সরকারের ঘাড়ে।

Advertisement

এ দিনই সন্ধ্যায় ৯০০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির হাতে

তুলে দিয়েছেন বিচারপতি মাথুর। তাতে সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন ১৮ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে। ক্যাবিনেট সচিব পদ বাদে সর্বোচ্চ বেতন হচ্ছে ২ লক্ষ ২৫ হাজার। কর্মীদের মূল বেতন বাড়ছে ১৪.২৭%। আর পেনশন ২৩ শতাংশেরও বেশি। ফৌজিদের পরে এ বার সরকারি কর্মী, আধাসেনাদের জন্যও ‘এক পদ এক পেনশন’ প্রকল্প চালু করার কথা বলা হয়েছে ।

সুপারিশ অনুযায়ী, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থা চালু থাকছে। তবে কাজের ন্যূনতম মাপকাঠি না ছুঁলে, থাকছে তা না বাড়ানোর নিদান। অর্থমন্ত্রী জানান, সুপারিশ কার্যকর করতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে তা করা হবে ষষ্ঠ কমিশনের থেকে দ্রুত।

ইউপিএ জমানায় ২০০৮ সালে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করতে গিয়ে রাজকোষ ঘাটতি বেড়ে গিয়েছিল অনেকখানি। এ বার সেনাদের জন্য ‘এক পদ এক পেনশন’ চালু হলে, এমনিতেই রাজকোষে চাপ পড়বে। তার উপর কার্যকর করতে হবে সপ্তম কমিশনের সুপারিশ। অর্থসচিব রতন ওয়াটালের অবশ্য দাবি, এতে রাজকোষ ঘাটতি লাগামছাড়া হবে না। অরুণ জেটলি বাজেটে তা বেঁধে রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন, তা মেনে চলা সম্ভব হবে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর রঘুরাম রাজন-সহ অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, সপ্তম কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হলে অর্থনীতির ভাল। কারণ, তাতে চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা। আবার অনেকের মতে, ফল হতে পারে উল্টো। মাথাচাড়া দেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম।

কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন বাড়লে, তা বৃদ্ধির চাপ তৈরি হয় রাজ্য সরকারগুলির উপরেও। পশ্চিমবঙ্গে যেমন মহার্ঘ ভাতায় বিপুল ফারাক নিয়ে আলোচনা চলছে অনেক দিন ধরে। তবে আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে নতুন বেতন কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন