Telangana Rain

তেলঙ্গানায় ভারী বৃষ্টিতে নদীর জলের তোড়ে ভেসে মৃত্যু আট জনের, ছ’জনের দেহ উদ্ধার

বৃষ্টি এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে খাম্মাম এবং ওয়ারাঙ্গল জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৩ ১২:০৪
Share:

গোদাবরীর জল ঢুকে প্লাবিত ভূপালপল্লি জেলা। ছবি: পিটিআই।

তেলঙ্গানায় নদীর জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হল আট জনের। ছ’জনের দেহ উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ দু’জন। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এখনই বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণ নেই। ভারী বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই মিললেও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৩১ জুলাই পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি এবং কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুলুগু জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে নদী পেরিয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন এক দল গ্রামবাসী। সেই সময় আচমকাই হড়পা বান আসে। আর তাতেই ভেসে যান আট জন। চার জনকে সে দিনই উদ্ধার করা হয়েছিল। আট জন নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার ছ’জনের দেহ উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ।

রাজ্য পুলিশের ডিজি অঞ্জনি কুমার জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনগুলি প্লাবিত এলাকাগুলি থেকে ১৯ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। গোদাবরীর তীরবর্তী এলাকাগুলি থেকে সাড়ে ৩ হাজার বাসিন্দাকে ত্রাণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি কোঠাগুডেম, মুলুগু, ওয়ারাঙ্গল, খাম্মাম, ভূপলাপল্লি এবং হায়দরাবাদ জেলার।

Advertisement

রাজ্যে প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও গোদাবরী-সহ রাজ্যের বেশির ভাগ নদীগুলি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ফলে বহু গ্রাম এখনও জলের তলায়। এই সপ্তাহে উত্তর তেলঙ্গানায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ায় রাজ্যের ওই প্রান্তের জেলাগুলির পরিস্থিতি শোচনীয়। মুলুগু জেলায় ৬০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে খাম্মাম এবং ওয়ারাঙ্গল জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement