নামনি অসমে বন্যার্তদের উদ্ধার করছে সেনাবাহিনী। ছবি: পিটিআই।
বৃষ্টি না থামায় অসমের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে একটানা বৃষ্টিতে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র, বুড়িডিহিং, সুবনসিঁড়ি, ধানসিঁড়ি, জিয়া ভরালি, পুথিমারি, বেকি, গুরুং, সঙ্কোশ। ১৯৮৮ সালের পর রাজ্যের পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়নি বলেই সরকারি সূত্রে খবর।
গত ২৪ ঘণ্টা ধরে টানা বৃষ্টিতে আরও ভয়াবহ হয়েছে কাজিরাঙা জাতীয় অভয়ারণ্যের পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই কাজিরাঙার ৮৫ শতাংশ জলের তলায় চলে গিয়েছে। কাজিরাঙার ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার রহিনি বাল্লাভ সাইকিয়া জানিয়েছেন, এ বছরে বন্যার কারণে শতাধিক পশুর মৃত্যু হয়েছে। যাতে আর পশুর মৃত্যু না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ, একের পর এক ট্রেন বাতিল
আরও পড়ুন: বানভাসি অসম, মৃত শতাধিক
সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, রাজ্যে বন্যা কবলিতের সংখ্যা সাড়ে ২২ লক্ষ। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫৮৪ জন। বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়ক জলের তলায়। গুয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। বিভিন্ন স্থানে ধস নামারও খবর মিলেছে। মাইবংয়েও ধসে যোগাযোগ বন্ধ। লাইন জলের তলায় থাকায় বন্ধ রেল চলাচল।দ্বিতীয় দফার বন্যায় অসমে মৃত্যু বেড়ে ২৩ হয়েছে। নিখোঁজ ১০ জন। কলকাতাগামী বিমানের ভাড়া লাফিয়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার ছুঁয়েছে। সেখানেও আসন অমিল।বন্যা নিয়ে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের নেতৃত্বে বন্যা নিয়ন্ত্রণে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়।