উদ্ধার হওয়ার পরে টারজানের পরিচর্যা। ছবি: অশোককুমার দাস।
গল্পের মানবশিশুকে লালন-পালন করে বড় করেছিল গরিলার দল। আর পবিতরায় অনাথ গন্ডার শাবককে লালন করেছিলেন পবিতরা অভয়ারণ্যের বনকর্মীরা। মিল বলতে, দু’জনের নামই টারজান। কিন্তু বিস্তর চেষ্টার পরেও সকলের আদরের টারজানকে বাঁচানো গেল না। বুধবার গভীর রাতে গুয়াহাটি চিড়িয়াখানায় মৃত্যু হয় টারজানের। পবিতরার রেঞ্জার অশোককুমার দাস জানান, দিন কুড়ির শাবকটিকে একলা দেখতে পান বনকর্মীরা। সাধারণত বাচ্চা হওয়ার পরে স্ত্রী গন্ডাররা শাবককে কাছছাড়া করে ফের মিলনে আগ্রহী হয় না। তাই অন্য পুরুষ গন্ডাররা অনেক সময়েই শাবকদের মেরে ফেলার চেষ্টা করে। স্ত্রী গন্ডাররা যে কোনও বিপদ থেকে বাচ্চাকে সর্বদা আগলে রাখে। কিন্তু কখনও বাচ্চাদের নিরাপদে রাখতেই মা দূরে সরে যায়। তেমনই ঘটে এই পুরুষ শাবকটির ক্ষেত্রে। বনকর্মীরাই তাকে প্রাথমিক শুশ্রূষা করেন। দুধ খাওয়ান। তাকে সকলে আদর করে নাম দেন টারজান। তিন দিন আগে টারজানকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসকদের তদারকিতে থাকলেও টারজানের ওজন ক্রমেই কমতে থাকে। শেষ পর্যন্ত গত কাল রাত তিনটের সময় সে মারা যায়। আজ টারজানের মৃত্যুর খবর পবিতরায় পৌঁছনোর পরে সকলেরই মন খারাপ।