গত ১৯ সেপ্টেম্বর মারা যান জ়ুবিন গার্গ। —ফাইল চিত্র।
তাঁর অকস্মাৎ বিদায় মেনে নিতে পারেনি অসম। সমগ্র অসমবাসী মনে করেন, দুর্ঘটনা নয়, সিঙ্গাপুরে খুন করা হয়েছিল তাঁদের প্রিয় শিল্পী জ়ুবিন গার্গকে। প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী-অভিনেতাকে তাঁরা রেখে দিয়েছেন হৃদয়ে। তার ছাপ পড়ল ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন (এসআর) প্রক্রিয়াতেও। ভোটার তালিকার সংশোধনের কাজ করতে গিয়ে মৃত জ়ুবিনের নাম কাটতে পারলেন না কর্তব্যরত বিএলও। তোফিজুদ্দিন আহমেদ নামে ওই বুথ স্তরের আধিকারিকের ব্যাখ্যা, ‘‘উনি তো অমর!’’
ভোটারের মৃত্যু হলে সংশোধিত ভোটার তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়াই দস্তুর। কিন্তু তালিকা সংশোধনের কাজে প্রয়াত শিল্পীর গুয়াহাটির কাহিলাপাড়ার বাড়িতে গিয়েও সেই কাজ করতে পারেননি জ়ুবিন-ভক্ত ওই বিএলও। সঙ্গীতশিল্পীর বোন পামী বরঠাকুর বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘আপনাদের ভালবাসাই আমাদের শক্তি। ভাই তোফিজুদ্দিন, তোমাদের কাছে আমরা চিরঋণী।’’
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে জ়ুবিনের বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই বিএলও। পরিবারের সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলার পরেও ভোটার তালিকা থেকে জ়ুবিনের নাম কাটেননি, বদলে লিখেছেন, ‘‘উনি অমর থাকুন।’’
নর্থ ইস্ট ফেস্টিভালে যোগ দিতে গিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান জ়ুবিন। তাঁর মৃত্যুরহস্যের তদন্ত করছে অসম পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েক জন। শিল্পীর মৃত্যুর পর প্রায় আড়াই মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু তাঁকে নিয়ে আবেগ কিঞ্চিৎ কমেনি। তাঁর প্রতি অসমের ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা একই রয়েছে।
সরকারি নথিতে কি আবেগের জায়গা থাকে? বিএলও তোফিজুদ্দিনের ব্যাখ্যা, ‘‘অসমের সকলের আত্মা জুবিন গর্গ। তিনি ছিলেন আমাদের কণ্ঠস্বর। আমরা কখনও মেনে নিতে পারব না যে, তিনি আর নেই। যখন আমাকে ভোটার তালিকা পরীক্ষা করতে হয়েছিল, তখন আমি আমার আবেগকে রোধ করতে পারিনি। বাকিটা কমিশন বলবে।’’