বান্দ্রার রাস্তায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুবহু নকল ছবি তুলে ফেললেন ইনি

বান্দ্রার রাস্তায় খোঁড়াখুড়ি যেন শেষই হয় না। অনন্তকাল ধরে চলা বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের (বিএমসি) এই কাজে তিতিবিরক্ত হয়ে যান জেনেসিয়া আলভেস। চায়ের কাপ হাতে নিয়ে ওই ভাঙাচোরা ইটের গাদার উপরে বসেই একটা ছবি তুলে ফেললেন পেশায় ফ্রিল্যান্স সংবাদিক এবং লেখিকা জেনেসিয়া।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ১১:৩০
Share:

জেনেসিয়া আলভেসের তোলা ছবি। ডানদিকে বিশ্বযুদ্ধের সেই আইকনিক ছবি। ছবি:সংগৃহীত

বান্দ্রার রাস্তায় খোঁড়াখুড়ি যেন শেষই হয় না। অনন্তকাল ধরে চলা বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের (বিএমসি) এই কাজে তিতিবিরক্ত হয়ে যান জেনেসিয়া আলভেস। চায়ের কাপ হাতে নিয়ে ওই ভাঙাচোরা ইটের গাদার উপরে বসেই একটা ছবি তুলে ফেললেন পেশায় ফ্রিল্যান্স সংবাদিক এবং লেখিকা জেনেসিয়া। যে ছবিটার হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন এক ছবির সঙ্গে। আর দুটো ছবিকে মিলিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছাড়া মাত্রই তা ভাইরাল।

Advertisement

বান্দ্রার রোজকার জীবনের অবস্থাটা কতটা খারাপ, সেটাকে বোঝাতে ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই ছবিটি তৈরি করেছেন জেনেসিয়া। বিখ্যাত সেই ছবিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তোলা হয়েছিল ব্রিটেনে। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিধ্বস্ত শহরের ধ্বংসস্তূপের উপরে বসে এক মহিলা চা খাচ্ছেন।

১৬ বছরের মেয়ে আমাইয়ার সাহায্য নিয়ে আলভেস ছবিটি তৈরি করেছেন বান্দ্রার সেন্ট পল্স রোডে। সেখানেই পরিবারের সঙ্গে থাকেন এই লেখিকা। আলভেস বলছেন, “১৯৪০ সালের অশান্ত পরিস্থিতিতেও শান্ত ভাবে মহিলার চা খাওয়ার ছবিটি আমাকে নাড়া দিয়েছিল। স্তূপীকৃত ইটের জঞ্জাল দেখে আমি রোজ বিরক্ত হয়ে যেতাম। ভেবেছিলাম ওই ছবিটার মতো যদি কিছু করতে পারি।”

Advertisement

সকাল ১০ টার একটু পর থেকেই বিএমসির লোকেরা এখানে কাজ করতে শুরু করেন। ঠিক তার আগেই ছবিটা তুলে ফেলেন জেনেসিয়া আলভেস। পুরনো ছবিতে যেমন ছিল, এক্কেবারে তেমন করেই ছবিটি তুলেছেন তিনি। এমনকী বুক পকেটে কাগজটি অবধি রাখতে ভোলেননি এই লেখিকা।

আরও পড়ুন: ওজন কমেছে ৩০০ কেজি! মানছে না পরিবার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন