উমর খালিদ
বেশি দিন কোনও এক প্রেমিকায় মন টিকত না নিহত জইশ ই মহম্মদ কম্যান্ডার উমর খালিদের। তাই মাঝে মধ্যেই সঙ্গিনী বদল করত সে। ‘চাহিদা’ মিটে গেল তাদের ছুড়ে ফেলতেও বিন্দুমাত্র সময় লাগত না তার। বার বার এ ভাবে সঙ্গিনী বদলই ‘কাল’ হল জঙ্গিনেতার। কারণ, সম্পর্ক ছিন্ন করা এক পুরনো প্রেমিকাই খালিদের সব খবর পুলিশ জানায়। সেই খবরের উপর ভিত্তি করেই গত কাল, সোমবার খালিদকে খতম করতে সক্ষম হয় নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার এ কথা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক শীর্ষ অফিসার মুনীর মহম্মদ খান।
খালিদের কম করে ১৭ জন প্রেমিকার কথা জানতে পেয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, এর মধ্যে বেশ কয়েক জন প্রেমিকার সঙ্গে এখন সম্পর্ক ছিল না তার। আবার কয়েক জনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেও, বর্তমানে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছিল নিহত ওই জঙ্গিনেতা। সোমবার সকালে এমনই এক পুরনো প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে বারামুলার লাদুরা গ্রামে এসেছিল খালিদ।
আরও পড়ুন: কড়া কেন্দ্র, কাশ্মীরে নিহত জইশ কম্যান্ডার
পুলিশ জানিয়েছে, খালিদের গ্রামে আসার কথা আগে থেকে তাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন ওই মহিলা। আরও অনেক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক এবং আগে একবার বিচ্ছেদের জন্য এ কাজ করেন ওই মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, খালিদের এমন একাধিক নারী-সঙ্গের জন্য তাকে ‘জাহান্নাম’ বলে ডাকতেন তিনি।
আরও পড়ুন:‘চৌকিদার’ মোদীই বিদ্ধ রাহুলে
পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে, মূলত পাকিস্তান থেকে আসা বহু জঙ্গিই কাশ্মীরে তুলনামূলক ভাবে শিক্ষিত মেয়েদের প্রেমে পড়ে। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার সময় সাধারণত একাই যায় তারা। আর তখনই তাদের নিশানা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এ ভাবেই অগস্টে খতম করা হয় লস্কর ই তৈবা সদস্য আবু দুজানাকে। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিল সে, তার কথাও পুলিশকে বলে দেয় তার এক প্রাক্তন প্রেমিকা।