এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
একই পরিবারের তিন সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে। খুন না আত্মহত্যা, তা নিয়েই পুলিশ এখনও ধন্দে। ঘটনাটি ঘটেছে কোচির ইয়াচামুক্কু এলাকায়। শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধ ঘর থেকে এক কেন্দ্রীয় আবগারি দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তা, তাঁর মা এবং বোনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
তদন্তকারী এক অফিসারের কথায়, ‘‘আস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তিন জনই আত্মহত্যা করেছেন। মৃত আবগারি দফতরের কর্তা ঝা়ড়খণ্ডের রাঁচীর বাসিন্দা। কর্মসূত্রে পরিবারকে নিয়ে থাকতেন কোচিতে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অন্তত তিন চার দিন আগে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। ঘরের মধ্যেই পড়েছিল দেহগুলি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত আবগারি দফতরের কর্তা কয়েক দিন ছুটিতে ছিলেন। কিন্তু ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ না দেওয়ায় সন্দেহ হয় সহকর্মীদের। বার বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। পরে সহকর্মীরা কোয়ার্টারে খোঁজ নিতে যান। কিন্তু গিয়ে দেখেন কোয়ার্টারের দরজা বন্ধ। বাইরে থেকে দুর্গন্ধ পান। তখন সন্দেহ আরও বাড়ে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢোকেন। ওই অফিসার এবং তাঁর বোনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তদন্তকারীরা। আর পাশের ঘরের বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধা। সম্পর্কে তিনি মৃত অফিসারের মা।
তদন্তে নেমে পুলিশ এখনও পর্যন্ত সন্দেহ জনক কিছু পায়নি বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার। প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা হলেও মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।