ধর্ষণে মা হয়ে কোর্টে কাঠুয়ার নাবালিকা

১২ বছরে ধর্ষিতা ওই কিশোরীর বয়স এখন চোদ্দো, এবং সে জন্ম দিয়েছে এক সন্তানের, যার শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। ওই নাবালিকার হয়েও লড়াইয়ে নেমেছেন দীপিকা সিংহ রাজওয়াত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৮ ০৪:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

কাঠুয়ায় যৌন নিগ্রহ, বিশেষত নাবালিকা ধর্ষণ যে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে, এক কিশোরীর অভিযোগের সূত্রে তা প্রকট হয়ে গেল। ১২ বছরে ধর্ষিতা ওই কিশোরীর বয়স এখন চোদ্দো, এবং সে জন্ম দিয়েছে এক সন্তানের, যার শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। ওই নাবালিকার হয়েও লড়াইয়ে নেমেছেন দীপিকা সিংহ রাজওয়াত।

Advertisement

সম্প্রতি জম্মুর হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের হওয়ার পরেই ২০১৬ সালে কাঠুয়া জেলার নগালি এলাকার ওই নাবালিকা ধর্ষণের কথা সামনে আসে। ওই নাবালিকা মায়ের হয়ে লড়াইয়ে নামা দীপিকা মঙ্গলবার মোবাইলে জানান, মেয়েটি ২০১৬ সালে জঙ্গল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষিত হয়। ধর্ষক মেয়েটিকে হুমকি দিয়েছিল, ঘটনার কথা কাউকে জানালে বিপদ হবে। কিন্তু কয়েক মাস পরে মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, সে গর্ভবতী। মেয়েটি জানায়, ওই গ্রামেরই এক বাসিন্দা তাকে ধর্ষণ করেছে। মাস ছয়েক আগে ওই নাবালিকা একটি সন্তানের জন্ম দেয়। তার পরে মেয়েটির পরিবারের সমস্যা বেড়েছে।

দীপিকার অভিযোগ, নাবালিকা অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষায় অভিযুক্তের সঙ্গে নাবালিকার সন্তানের রিপোর্ট না-মেলায় মেয়েটি অবাক হয়ে যায়। তার পরিবার ডিএনএ রিপোর্টে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন। কিন্তু পুলিশ নতুন করে তদন্ত বা ডিএনএ পরীক্ষায় রাজি নয়। দীপিকা জানান, গত মাসে ওই নাবালিকা এবং তার পরিবার নতুন করে ঘটনার তদন্তের আর্জি জানিয়ে জম্মুর হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেছে। ওই আবেদনে নতুন করে তদন্ত শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে আবার যাতে অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়, সেই আর্জিও জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে দীপিকা জানিয়েছেন, জম্মু হাইকোর্ট এই আবেদনে সাড়া দিয়ে আগামী ৪ জুন অভিযোগকারিণী নাবালিকার বক্তব্য শোনার দিন ধার্য করেছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন