ভোপালের ঐশবাগ এলাকায় রেলসেতু। এই সেতু ঘিরেই বিতর্ক ছড়ায়। —ফাইল চিত্র।
মধ্যপ্রদেশের ভোপালে রেললাইনের উপর সেই উড়ালপুল নিয়ে এ বার রিপোর্ট জমা পড়ল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টে। প্রাথমিক ভাবে দাবি করা হচ্ছিল, সেতুটিতে ৯০ ডিগ্রির বাঁক রয়েছে। প্রকাশ্যে আসা ছবিতেও তেমনটাই মনে করা হচ্ছিল। এ বার হাই কোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে জানানো হল, ৯০ ডিগ্রি নয়, ১১৮-১১৯ ডিগ্রির বাঁক রয়েছে সেতুটিতে।
ভোপালের ঐশবাগ এলাকায় রেললাইনের উপর ওই সেতু ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধতেই ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে মধ্যপ্রদেশ সরকার। ওই সংস্থাকে সরকারের খাতায় কালো তালিকাভুক্ত করে দেওয়া হয়। সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় সেতুটির নির্মাণকারী সংস্থা। গত বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব সচদেব এবং বিচারপতি বিনয় সরাফের ডিভিশন বেঞ্চে সেতু সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা পড়ে।
মামলাকারীই আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন, যাতে কোনও বিশেষজ্ঞকে দিয়ে ওই সেতুটি পরীক্ষা করানো হয়। সেই মতো ভোপালের মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির এক বিশেষজ্ঞকে দিয়ে ওই সেতুটি পরীক্ষা করানো হয়। বুধবার আদালতে ওই বিশেষজ্ঞের রিপোর্ট জমা পড়ে। তাতে বলা হয়, ১১৮-১১৯ ডিগ্রি বাঁক রয়েছে সেতুটিতে। এই রিপোর্টের পরে ওই ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেতু সংক্রান্ত ওই রিপোর্টের কপিও মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত সব পক্ষকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বস্তুত, প্রায় ১৮ কোটি টাকা খরচ করে ওই সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল। মহামই কা বাগ এবং পুষ্পনগরের মধ্যে যোগাযোগ মসৃণ করতে নিউ ভোপালের স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এই রেলসেতুটি তৈরি করা হয়। সেতু নির্মাণের পর সেটির একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আপাতদৃষ্টিতে সেতুটির প্রায় ৯০ ডিগ্রির বাঁক দেশবাসীকে স্তম্ভিত করেছে। সেতুর এমন নকশা নিয়ে চর্চা আর সমালোচনার ঝড় বয়েছে গোটা দেশে।