গৌরী লঙ্কেশ। — ফাইল চিত্র।
সাংবাদিক-সমাজকর্মী গৌরী লঙ্কেশ হত্যার দেখতে দেখতে এক বছর পার হল। গত কাল গুজরাতের এক ফরেন্সিক পরীক্ষাগার তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, এই ঘটনায় ধৃত পরশুরাম ওয়াঘমারেই গৌরীকে গুলি করেছিল। দাভোলকর, পানসারে, কালবুর্গির পরে ফের লঙ্কেশ। প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল দেশ। খুনের তদন্তে বিশেষ তদন্ত দল (সিট) গড়ে কর্নাটক পুলিশ।
সম্প্রতি সিট জানিয়েছে, লঙ্কেশ হত্যা মামলার তদন্ত একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। আর দু’মাসের মধ্যেই চার্জশিট জমা দিতে পারবে তারা। এখনও পর্যন্ত মামলায় ১২ জন গ্রেফতার হয়েছে। ওয়াঘমারে সম্পর্কে ফরেন্সিক রিপোর্ট তদন্তকে আরও এগিয়ে দিল বলেই দাবি সিটের।
তদন্তে সিটের অগ্রগতি নিয়ে খুশি আদালত। সতর্কতা, ক্ষিপ্রতা ও গুরুত্বের সঙ্গে মামলাটির তদন্ত করেছে সিট, মনে করছে হাইকোর্ট। গৌরীর বোন কবিতা লঙ্কেশ জানান, ‘‘রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই তদন্ত এগোচ্ছে। তদন্তে ভরসা আছে।’’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, সত্যবাদীদের পক্ষে এ এক বিপজ্জনক সময়। গৌরীর মৃত্যুর পর থেকে বন্ধই পড়েছিল তাঁর সাধের ‘লঙ্কেশ পত্রিকে’। কিন্তু সেই যুদ্ধকে এত সহজে থামতে দিতে নারাজ সহকর্মীরা। তাই গৌরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে নয়া উদ্যমে প্রকাশ পেতে চলেছে পত্রিকা। লঙ্কেশ স্মরণে আগামিকালই প্রকাশ পাবে ‘নয়া পথ’ নাম নিয়ে পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা। প্রচ্ছদে গৌরীর ছবির সঙ্গে তাঁর প্রিয় পঙক্তি, ‘অভিব্যক্তি মরুহট্টি’। বাংলা করলে অভিব্যক্তির স্বাধীনতার পুনর্জন্ম। নাম বদলালেও বক্তব্য যে বদলাচ্ছে না, মনে করিয়ে দিচ্ছেন গৌরীর সেনানীরাই।