যোগেন্দ্রর পাশে ময়ঙ্ক, বিদ্রোহ বাড়ছে আপে

এক বিদ্রোহ চাপা দিতে গিয়ে আর এক বিদ্রোহে জেরবার আম আদমি পার্টি! দলের সর্ব্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটি থেকে গত কাল যে ভাবে বর্ষীয়ান সদস্য প্রশান্তভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদবকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দলের আর এক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ময়ঙ্ক গাঁধী। গত কাল দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে উপস্থিত থেকেও ভোট দেননি ময়ঙ্ক। উল্টে আজ তিনি নিজের ব্লগে অভিযোগ তুলেছেন, “ওই দুই নেতা নিজেরাই নীতিনির্ধারক কমিটি থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁদের সবার সামনে বহিষ্কার করতেই ভোটাভুটি করা হয়!”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৫ ০১:৩১
Share:

যোগেন্দ্র যাদব। — ফাইল চিত্র।

এক বিদ্রোহ চাপা দিতে গিয়ে আর এক বিদ্রোহে জেরবার আম আদমি পার্টি!

Advertisement

দলের সর্ব্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটি থেকে গত কাল যে ভাবে বর্ষীয়ান সদস্য প্রশান্তভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদবকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দলের আর এক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ময়ঙ্ক গাঁধী। গত কাল দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে উপস্থিত থেকেও ভোট দেননি ময়ঙ্ক। উল্টে আজ তিনি নিজের ব্লগে অভিযোগ তুলেছেন, “ওই দুই নেতা নিজেরাই নীতিনির্ধারক কমিটি থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁদের সবার সামনে বহিষ্কার করতেই ভোটাভুটি করা হয়!” ঘনিষ্ঠ মহলে ময়ঙ্কের দাবি, ওই দু’জনকে অপমান করতেই এই কাজ করেছেন কেজরী-ঘনিষ্ঠরা। যোগেন্দ্র ও প্রশান্ত যে হেতু কেজরীবালের অপছন্দের লোক, তাই তাঁদের সর্বসমক্ষে এ ভাবে অপমান করা হয়েছে।

গত কয়েক মাস ধরেই প্রশান্ত ও যোগেন্দ্রের সঙ্গে ঠোকাঠুকি চলছিল কেজরীবালের। দলের অন্দরে ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাঁরা পার্টির আহ্বায়ক পদ থেকে কেজরীবালকে সরানোর জন্য চক্রান্ত করছিলেন। আপ সূত্রের খবর, দিল্লিতে বিপুল জয়ের পরেই নিজের রাস্তা নিষ্কণ্টক করতে সক্রিয় হন কেজরীবাল। ইতিমধ্যে দেশের অন্যত্র পার্টির বিস্তার ঘটানো নিয়ে যোগেন্দ্রর সঙ্গে কেজরীবালের মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসে পড়ে। যোগেন্দ্র অন্য রাজ্যে ভোটে লড়ার কথা বললেও কেজরীবাল তা খারিজ করে দেন। এর পরেই ঠিক হয়, কর্মসমিতির বৈঠকে ভোটাভুটি করে দলের সর্ব্বোচ্চ কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে ওই দু’জনকে।

Advertisement

পরিকল্পনামাফিক গত কাল ভোটাভুটি হলে তাতে প্রশান্ত ও যোগেন্দ্রকে সরানোর পক্ষে রায় দেন কেজরী-ঘনিষ্ঠরা। তাঁরা ভেবেছিলেন, এতে দলের মধ্যে আপাতত বিদ্রোহের আগুন নিভবে। কিন্তু আজ সবাইকে অবাক করে দিয়ে মুখ খোলেন মুম্বইয়ে আপের প্রতিষ্ঠাতা ময়ঙ্ক। কী ভাবে গত কালের বৈঠকে কার্যত অপমান করে ওই দু’জনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা বিস্তারিত ভাবে নিজের ব্লগে তুলে ধরেন তিনি। ফলে এটা স্পষ্ট যে, বিদ্রোহ এখন মেটেনি। গত কাল প্রশান্ত ও যোগেন্দ্রের হয়ে ভোট দিয়েছিলেন কর্মসমিতির আট সদস্য। বিপক্ষে ১১ জন। কেজরীবাল-সহ তিন জন বৈঠকে যোগ দেননি। আর ভোট দেননি ময়ঙ্ক এবং আর এক সদস্য।

আজ ময়ঙ্ক মুখ খোলার পরে কেজরী-ঘনিষ্ঠদের আশঙ্কা, যোগেন্দ্রর হয়ে ভোট দেওয়া সদস্যরাও না সেই পথে হাঁটেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন