আপ বিধায়ক আমানাতুল্লা খান।
ফের বিতর্কে আম আদমি পার্টির এক বিধায়ক। সন্দীপ কুমারের পর এ বার যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল আপ বিধায়ক আমানাতুল্লা খানের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণী তাঁরই এক আত্মীয়া।
পুলিশের কাছে ওই মহিলা অভিযোগ করেন, আপ বিধায়কের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বানানোর জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হত। এমনকী খান তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে যোগসাজশ করে পণের জন্য অত্যাচার চালাত।
কিন্তু আপ বিধায়ক সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই নেই।”
আমানাতুল্লা ওখলার বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পরই সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন। তাঁর ইস্তফাপত্র মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের কাছে পাঠিয়ে দেন। ইস্তফাপত্রে খান লেখেন, “তাঁকে এবং পরিবারকে কলঙ্কিত করার জন্য এ ভাবে ফাঁসানো হয়েছে।”
দিল্লির ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইস্তফা দেন খান। কেজরীবালকে লেখা চিঠিতে তিনি দাবি করেন, তাঁর সততা অনেকেই মেনে নিতে পারছিলেন না। আগের সরকারের অনেক দুর্নীতি তিনি ফাঁস করেছেন। তারই বদলা নিতে এ সব চক্রান্ত করা হয়েছে।
খান বলেন, “মানুষকে কৈফিয়ত্ দিতে দিতে আমি ক্লান্ত। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। তাই সরকারের দেওয়া সমস্ত দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চাই।” তবে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে খান কোনও জবাব দেননি।
এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন এই আপ বিধায়ক। দু’দিন আগেই দিল্লির ওয়াকফ বোর্ডের দফতরে দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা তল্লিশি অভিযান চালায়। খানের বিরুদ্ধে ওয়াকফ বোর্ডে নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। যদিও সে ক্ষেত্রে তিনি ‘চক্রান্তের তত্ত্ব’ খাড়া করেন।
এ ছাড়াও গত জুলাইয়ে এক মহিলাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে খানকে গ্রেফতার করেছিলে পুলিশ।
সন্দীপ কুমারের পর আমানাতুল্লা খানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠায় কেজরীবাল আরো বিপাকে পড়লেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও খবর...
‘টাকা দিবি না!’ বলেই রড দিয়ে পিটিয়ে খুন ব্যবসায়ীকে