Kapil Mishra

বিদ্রোহের বদলা? বিধানসভাতেই লাথি-ঘুঁষি কপিলকে

কপিল মিশ্র অভিযোগ করেন, বিধানসভায় আমাকে কিছু বলতে দেওয়া হচ্ছে না। সে জন্য রামলীলা ময়দানে একটা বিশেষ সভা আয়োজন করার দাবি জানিয়েছিলাম। এর পরই আমার উপর চড়াও হন অন্যান্য বিধায়করা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৭ ১৮:৩৫
Share:

দিল্লি বিধানসভায় ঝামেলার পর কপিল মিশ্র।— পিটিআই

কেজরীবালের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় আগেই আম আদমি পার্টি থেকে সাসপেন্ড হয়েছিলেন।এ বার দিল্লি বিধানসভার ভিতরেই নিগ্রহের শিকার হলেন আপের বিদ্রোহী বিধায়ক কপিল মিশ্র। আপ সদস্যরা রীতিমতো ঘিরে ধরে মারধর করলেন তাঁকে। সে ছবি ধরাও পড়েছে ক্যামেরাতে। কপিল মিশ্রের অভিযোগ, উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার প্ররোচনাতেই এই হামলা চালানো হয় তাঁর উপর। দিল্লি বিধায়সভায় বুধবারের ঘটনা নিয়ে আপকে আক্রমণ করার সুযোগ হাতছড়া করেনি বিরোধীরা। তবে, সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে আপ।

Advertisement

বুধবার দিল্লি বিধানসভায় জিএসটি বিল নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। আলোচনার সময়েই কপিলের উপর হামলা চালায় আপের বিধায়করা। ছবিতে দেখা গিয়েছে, বিধানসভার ভিতরে রীতিমতো কিল-ঘুঁষি মারা হয় তাঁকে। রীতিমতো গলা ধরে মারধর করা হয়। লাথি মারা হয় বলেও অভিযোগ। পরে টেনে-হিঁচড়ে সভা থেকে বের করে দেওয়া কপিলকে।এর পর সভা মুলতবি করে দেন অধ্যক্ষ রাম নিওয়াস গোয়েল।

এই ঘটনার পরে কপিল মিশ্র অভিযোগ করেন, ‘‘বিধানসভায় আমাকে কিছু বলতে দেওয়া হচ্ছে না। সে জন্য রামলীলা ময়দানে একটা বিশেষ সভা আয়োজন করার দাবি জানিয়েছিলাম। এর পরই আমার উপর চড়াও হন অন্যান্য বিধায়করা।’’ তাঁর দাবি, ‘‘যখন উপ মুখ্যমন্ত্রী সিসৌদিয়ার নেতৃত্বে আমাকে মারধর করা হচ্ছিল, তখন বিধানসভার ভিতরে বসে হাসছিলেন কেজরীবাল।’’

Advertisement

দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলাতেই কি আপ বিধায়ককে মারধর করা হল, উঠতে শুরু করেছে এই প্রশ্ন। যদিও সব অভিযোগ উড়েয়ে দিয়েছে আম আদমি পার্টি।যাঁর বিরুদ্ধে কপিল মূলত এ দিন অভিযোগের আঙুল তুলেছেন, সেই মণীশ সিসৌদিয়ার দাবি, ‘‘এটা মিথ্যা অভিযোগ। মারধরের কোনও ঘটনাই বিধানসভায় ঘটেনি।’’

আরও পড়ুন: আপ থেকে কেজরীকে তাড়াতে চান কপিল

কপিল মিশ্রের হেনস্থার ঘটনায় আপের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, ‘‘এটাই আপের সংস্কৃতি। কেজরীবালের দুর্নীতি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আপের মধ্যে ভাঙন ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। যাঁরাই কেজরির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন, তাঁদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গণতন্ত্রে এটা ভয়ঙ্কর ব্যাপার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement