নিজে গিয়ে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। বুঝিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মতোই বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে সুশাসন আনতে ত্রিপুরাতেও তৃণমূলই বিকল্প ভরসা। সেই ভরসা বাড়াতে এ বার ভাইপোকে দিয়ে সেখানে সাংগঠনিক বিস্তার ঘটানোর কাজ করতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই প্রধান বিরোধী দলের স্বীকৃতি পেয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে সেখানে দলের প্রাথমিক ভিত তৈরির কাজটা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। এ বার সেই শক্তিকে আরও বাড়াতে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় সমাবেশ করবেন মমতার সাংসদ ভাইপো ও দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বছর দু’য়েক আগে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন অভিষেক। এ বার ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে সেখানে পরিবর্তন আনতে যুবদের আরও সংগঠিত করতেই অভিষেকের এই সমাবেশ বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
কিছু দিন আগে সিপিএমের বৃন্দা কারাট সভা করেছিলেন আগরতলায়। সেখানেই অভিষেককে দিয়ে পাল্টা সভা করানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মুকুলও যাচ্ছেন ৪ সেপ্টেম্বর। তাঁর উপস্থিতিতে স্থানীয় সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপির কিছু নেতা-কর্মীর তৃণমূলে যোগদানের কথা। ত্রিপুরায় দলের শক্তি ও প্রচার বাড়াতে কিছু দিন পরপরই অভিষেকের সেখানে যাওয়ার কথা। অভিষেকের কথায়, ‘‘কী ভাবে বাম কুশাসনের অবসান ঘটাতে হবে, তার উপরই জোর দেব। বামেদের উৎখাত করে পরিবর্তনের জন্য কী করণীয়, তা-ও বোঝাব।’’ মুকুল, অভিষেকের মতো শীর্ষ নেতাদের ঘনঘন পাঠিয়ে বামেদের উপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি এ রাজ্যের বিদ্বজ্জনদেরও ত্রিপুরায় নিয়ে গিয়ে প্রচারে জোর দিতে চায় তৃণমূল।