ছবি: সংগৃহীত।
পাঁচ আসনে লড়তে দেওয়া হয়নি বিরোধী ছাত্রদের, আর যে চার আসনে ভোট হয়েছে সেখানেও হার এবিভিপি-র। খোদ মোদীর রাজ্য গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বিতর্ক এড়াতে এখন বিরোধী শিবিরের জেতা প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে সংখ্যা বাড়াচ্ছে বিজেপি।
গুজরাত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠন নয়, ভোট হয় ছাত্র পরিষদের। দশটির মধ্যে একটিতে ভোট করা সম্ভব হয়নি কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের বিরোধিতায়। বাকি ন’টির মধ্যে পাঁচটিতে বিরোধী কোনও প্রার্থীকে ভোটে লড়তেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত গোটা নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেসের এনএসইউআই-সহ অন্য সংগঠনগুলি। যার ফলে বিনা ভোটে পাঁচ আসনে জেতে এবিভিপি। আর যে চার আসনে নির্দল প্রার্থীরা লড়ার সিদ্ধান্ত নেন, সেখানে হার হয় এবিভিপি-র। এরই মধ্যে জয়ী এক নির্দল প্রার্থীকে নিজেদের শিবিরে নিয়ে সংখ্যা বাড়িয়ে দেখাচ্ছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: হাদিয়াকে বাবা-মা’র হেফাজত থেকে সরিয়ে আনল সুপ্রিম কোর্ট
গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অসন্তুষ্ট ছাত্রদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভয় দেখিয়ে, অভিভাবকদের ফোন করে এবিভিপি-র বিরোধী শিবিরের ছাত্রদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করান। নিয়মের তোয়াক্কা না করে পিছনো হয় নাম প্রত্যাহারের দিনও। বিরোধী শিবিরের এক ছাত্র হিমাংশু যাদবের মতে, ‘‘আমি ভোটের মাঝেই নাম প্রত্যাহারে বাধ্য হই। পরিষদ প্রশাসনের ইশারায় চলে। বিরোধী শিবিরের ছাত্রদের ভয় দেখানো হয়েছে। তাতেও যেখানে এবিভিপি লড়েছে, হেরেছে। এতে স্পষ্ট, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্ররা কতটা ক্ষুব্ধ।’’ এবিভিপি-র সমর্থক সন্দীপ শিঙ্গড়ে বিনা ভোটে পাঁচ ছাত্রের জয়কে আগেই অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। ষষ্ঠ আসনে নেহা টাভকর এবিভিপির প্রার্থী ছিলেন, সেখানে বাজি মারেন নির্দল প্রার্থী অর্জুন পটেল। এখন সেই অর্জুন পটেলকেই এবিভিপি-র বলে দাবি করছে বিজেপি। যুক্তি, অর্জুন আগে এবিভিপিতেই ছিলেন।
আরও পড়ুন: বডগাম থেকে লড়ব, ঘোষণা জিগ্নেশের, প্রার্থী প্রত্যাহার করল কংগ্রেস
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা রীতেশ তিওয়ারির মতে, ‘‘তর্কের খাতিরেও যদি ধরে নেওয়া হয়, পাঁচ আসনে ভোট করতে দেওয়া হয়নি, তাহলে অন্য চার আসনে কী করে ভোট হল? আর প্রাক্তন এবিভিপি-কেও যদি ছাত্ররা জেতান, সেটাও বলছে ভরসা আছে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠনেই।’’ বিজেপি-র মতে, সংখ্যাই আসল মাপকাঠি। আর সংখ্যা বলছে, ৯টির মধ্যে ৬টিই এবিভিপি-র দখলে।