ISF

আইএসএফ-সঙ্গ কংগ্রেসের আদর্শ-বিরোধী: জিতিন

বুধবারই বিজেপিতে যোগ দেওয়া জিতিন এত দিন এআইসিসি-তে পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২১ ০৬:৩২
Share:

ফাইল চিত্র।

বাংলার বিধানসভা ভোটে আব্বাস সিদ্দিকীর আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করে কংগ্রেস নিজের ‘মতাদর্শের সঙ্গে আপস’ করেছিল বলে মন্তব্য করলেন সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জিতিন প্রসাদ।

Advertisement

বুধবারই বিজেপিতে যোগ দেওয়া জিতিন এত দিন এআইসিসি-তে পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেসের নেতারা তাঁর মতাদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি জিতিন কংগ্রেসের জি-২৩ নামক যে বিক্ষুব্ধ নেতাদের গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন, সেই গোষ্ঠীর সদস্য কপিল সিব্বল, বীরাপ্পা মইলিরাও জিতিনের পাশে দাঁড়াননি। জিতিন ক্ষমতার লোভে নিজের মতাদর্শ বিসর্জন দিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলার পাশাপাশি আজ মইলি, সিব্বলরা গাঁধী পরিবারের দিকেই প্রশ্ন তুলেছেন, জিতিনের মতো নেতাকে কেন বাংলার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল? যাঁর উত্তরপ্রদেশই কোনও জনভিত্তি বা প্রভাব নেই, তাঁকে কেন বাংলায় পাঠানো হবে?

এই সমালোচনার মুখেই আজ জিতিন বলেছেন, “যাঁরা মতাদর্শের প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, বাংলায় মুসলিম পীরজাদার সঙ্গে জোট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন না কেন? সেগুলোও তো মতাদর্শের সঙ্গে আপস ছিল।” সিদ্দিকীর সঙ্গে জোট নিয়ে বিধানসভা ভোটের মধ্যেই জি-২৩-র আর এক সদস্য আনন্দ শর্মা প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, এটা গাঁধী-নেহরুর ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের বিরুদ্ধে। সে সময়ই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছে। বামেরা নিজেদের ভাগ থেকে কিছু আসন আইএসএফ-কে ছেড়েছে। কিন্তু ভোটের পরে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে জিতিন বলেছিলেন, আইএসএফ জোটে ঢুকে পড়ায় আসন সমঝোতা, প্রার্থী বাছাই করতে দেরি হয়। বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, জিতিন দায়িত্বে এলেও কোনও দিনও বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে আগ্রহ দেখাননি। জিতিন দল ছাড়ায় বাংলার দায়িত্বে কাকে পাঠানো হবে, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির পরে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে জি-২৩-র বিক্ষুব্ধ নেতারা মুখ খোলেননি। আজ জিতিনের প্রসঙ্গে ফের তাঁরা সরব। মইলির বক্তব্য, কংগ্রেসের ‘বড় মাপের অস্ত্রোপচার’ প্রয়োজন। যে সব নেতাদের মতাদর্শদত দায়বদ্ধতা রয়েছে, তাঁদেরই গুরুদায়িত্ব দেওয়া উচিত। জিতিনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কংগ্রেসকে আত্মসমীক্ষা করতে হবে। অযোগ্যদের বদলে দক্ষ নেতাদেরই দায়িত্ব দিতে হবে। মইলির মন্তব্য, “না হলে বাংলার মতোই ফল শূন্য হবে।”

মইলি, সিব্বলের মতো জি-২৩ নেতারা সক্রিয় নেতৃত্ব, সাংগঠনিক নির্বাচন চেয়ে গত বছর সনিয়াকে চিঠি লিখেছিলেন। সিব্বলের বক্তব্য, সেই সব সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। কংগ্রেসের সংগঠনে সংস্কার দরকার। সিব্বলের বক্তব্য, তাঁরা জিতিনের মতো বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্ব সমস্যাগুলো না শুনলে সংগঠনই দুর্বল হয়ে পড়বে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন