বিহারে পরীক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে এ বার কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হল এক অভিযুক্তকে। বিহার পুলিশের দেওয়া খবরের ভিত্তিতেই বিহারের বিদ্যালয় পরীক্ষা সমিতির কর্মী বিকাশ কুমারকে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার করে সিআইডি। মহেশতলার জিঞ্জিরাবাজার এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়েছে। সিআইডির ডিআইজি (অপারেশন) দিলীপ আদক জানান, বিকাশের খোঁজে মঙ্গলবার বিহার পুলিশের একটি দল কলকাতায় আসে। তারা বিকাশকে ট্রানজিট রিমান্ডে বিহারে নিয়ে গিয়েছে।
বিহারে পরীক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন সে রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা সমিতির চেয়ারম্যান লালকেশ্বর সিংহ এবং তাঁর স্ত্রী ও জেডিইউ বিধায়ক ঊষা সিংহ। সিআইডি জানিয়েছে, বিকাশ লালকেশ্বরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সে পরীক্ষা সমিতির হেড ক্লার্কের পাশাপাশি স্টোর কিপারের দায়িত্বে ছিল। তার হেফাজতেই থাকত প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র। সিআইডি সূত্রের খবর, কেলেঙ্কারির খবর সামনে আসার পরেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল বিকাশ। বিহার পুলিশ জানতে পারে দিল্লি, পটনার পাশাপাশি কয়েক বার কলকাতাতেও আশ্রয় নিয়েছে সে। গোয়েন্দাদের দাবি, সম্প্রতি ফুলবাগান থানা এলাকার ক্যানেল সার্কুলার রোডে একটি আবাসনে ফ্ল্যাট কিনেছিল বিকাশ।
মঙ্গলবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করার পরেই নিয়ে আসা হয় ভবানীভবনে। সেখানে দফায় দফায় জেরার মুখে বিকাশ জানায়, সে আশি লক্ষ টাকা দিয়ে ওই ফ্ল্যাট কিনেছিল।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বিকাশের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ রয়েছে বিহার পুলিশের কাছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেলেঙ্কারির পাশাপাশি প্রশ্নপত্র কেনা নিয়েও দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সে। মথুরার একটি সংস্থাকে প্রশ্নপত্র ছাপতে দিয়েছিল বিকাশ।
কিন্তু তার পাশাপাশি গুজরাতের একটি সংস্থার কাছ থেকে বেআইনি ভাবে ন’কোটি টাকা দিয়ে প্রশ্নপত্র কেনা হয়েছিল। আঠাশটি ট্রাকে করে ওই প্রশ্নপত্র গুজরাত থেকে পটনায় আনা হয়। গোয়েন্দাদের দাবি, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেলেঙ্কারির খবর সামনে আসার পরেই গুজরাত থেকে আসা প্রশ্ন বাজে কাগজ হিসেবে বিক্রি করে দেয় বিকাশ। পরে গুজরাতের ওই সংস্থা পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ দায়ের করে।