ধৃত চোরাশিকারি নিল এডিজির নাম

এ বার চোরাশিকারির মুখে রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষকর্তার নাম! পিঠ বাঁচাতে সহকর্মীদের দিকেই ষড়যন্ত্রের আঙুল তুললেন ওই এডিজি। সম্প্রতি কাজিরাঙায় চোরাশিকারের অভিযোগে কুখ্যাত শিকারি তিলক বরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও এসটিএফ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৬ ০৩:০৪
Share:

এ বার চোরাশিকারির মুখে রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষকর্তার নাম! পিঠ বাঁচাতে সহকর্মীদের দিকেই ষড়যন্ত্রের আঙুল তুললেন ওই এডিজি। সম্প্রতি কাজিরাঙায় চোরাশিকারের অভিযোগে কুখ্যাত শিকারি তিলক বরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও এসটিএফ। এই নিয়ে চতুর্থবার গ্রেফতার হল বরা। কিন্তু আগে প্রতিবারই আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে গিয়েছে সে। পুলিশ ও বন দফতর সূত্রে বলা হয়, গ্রেফতার হওয়া বরা জানিয়েছে, সে খড়্গ বিক্রি করা টাকার একটি অংশ স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের এক কম্যান্ডান্টকে দিয়েছে। টাকার ভাগ পেয়েছেন এসটিএফের দায়িত্বে থাকা এডিজি এ পি রাউতও। রাউতের মতো বড়কর্তার বিরুদ্ধে চোরাশিকারির এমন অভিযোগে নড়েচড়ে বসে উপর মহল।

Advertisement

এরপরেই রাউত অভিযোগ উড়িয়ে জানান, ‘‘যে সময় তিলক টাকা দেওয়ার কথা বলেছে, ওই সময় এসটিএফের দায়িত্বেই আসিনি।’’ তাঁর দাবি, ২০১৪-র ২৯ সেপ্টেম্বরে এসটিএফের দায়িত্ব নেন। গন্ডার শিকার রুখতে গড়া বিশেষ বাহিনীর দায়িত্ব পান ২০১৫-র ৩০ জানুয়ারি। তার পর থেকে এসটিএফ ২৪ জন শিকারিকে মেরেছে। ধরা পড়েছে ১৪৫ জন। গন্ডার মরেছে ১৭টি। উদ্ধার হয়েছে ৩৯টি রাইফেল, সাতটি পিস্তল, ২২৮ রাউন্ড গুলি।

কিন্তু শিকারি কেন রাউতের নাম নিল? রাউত বলেন, “আমার বিরুদ্ধে পুলিশের বড়কর্তাদের একাংশই ষড়যন্ত্র করছেন বলে আমি জানতে পেরেছি। আমার সময়ে চোরাশিকারের বিরুদ্ধে অভিযানে সব চেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে। সেই কারণেই আমার সহকর্মীদের একাংশ বরাকে আমার বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছেন।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement