বর্ষশেষের রাতে শ্লীলতাহানির ঘটনায় সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছিল মহিলাদের জন্য দেশের অন্যতম ‘সুরক্ষিত’ শহরের নাম। এ বার সেই তালিকায় নিজের নাম তুলল রাজধানীও। বেঙ্গালুরুর পর এ বার সামনে এল বর্ষবরণের রাতে দিল্লির রাস্তায় শ্লীলতাহানির সিসিটিভি ভিডিও।
বৃহস্পতিবারই সামনে এসেছে ৩১ ডিসেম্বর রাতের সেই ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির মুখার্জিনগর এলাকায় বাইক আরোহী এক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করছে একদল মদ্যপ ব্যক্তি। দেখা যায়, ঘটনাস্থলে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও উল্টে আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশকর্মীরাই। এর পরেই মদ্যপ ব্যক্তিরা ভাঙচুর চালায় পুলিশ চৌকিতে। ভাঙা হয় পুলিশের গাড়িও। উন্মত্ত জনতার হাতে আহত হন কয়েক জন মহিলা পুলিশকর্মীও। পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক অনিল কৌশিক বলেন, ‘‘ওই এলাকায় প্রায় ২০০ জনের একটি দল ছিল। বেশির ভাগই ছিল মদ্যপ। সেই সময় বাইকটি ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। বাইকটিতে দু’জন পুরুষের সঙ্গে এক মহিলাও ছিলেন। আমরা বাইকটিকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। ওই মহিলাকেও সরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা ২০০ জন, আমরা গুটিকয়েক। আটকানো সম্ভব হয়নি।’’
সম্প্রতি পূর্ব বেঙ্গালুরুর কাম্মানহাল্লি ফিফথ মেন রোডের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। ফুটেজে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ফাঁকা রাস্তায় দুই ব্যক্তির হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে এক মহিলাকে। সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসার পর মোট ছ’জনকে গ্রেফতারও করেছে কর্নাটক পুলিশ। দিল্লির ঘটনা সামনে আসার পর গোটা পরিস্থিতিরই তীব্র নিন্দা করে কংগ্রেস নেতা কিরণ ওয়ালিয়া বলেন, ‘‘এই ঘটনা প্রমাণ করে যে কেউই আইনকে ভয় পাচ্ছে না।’’
আরও পড়ুন: মিলল যৌন হেনস্থার নতুন ফুটেজ, চাপের মুখে তদন্ত শুরু কর্নাটক সরকারের