কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা। —ফাইল চিত্র।
আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের পরে এ বার ভোটার কার্ড নিয়ে বিজেপির নিশানায় কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা পবন খেরার নাম দিল্লির দু’টি ঠিকানার ভোটার তালিকায় রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিজেপি অভিযোগ তেলার পরেই নির্বাচন কমিশনের তরফে বিষয়টি নিয়ে পবনকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
বক্তব্যের সমর্থনে পবনের নামের দু’টি পৃথক ভোটার কার্ডের ছবিও প্রকাশ করেছেন মালব্য (আনন্দবাজার ডট কম সেগুলির সত্যতা যাচাই করেনি)। সোমবার বিহারের রাজধানী পটনায় ভোটাধিকার যাত্রায় দাঁড়িয়ে ‘ভোট চুরি’ এবার হাইড্রোজেন বোমা ফাটাবেন বলে দাবি করেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল। তার পরেই বিজেপি নিশানা করল পবনকে।
ঘটনাচক্রে, পবন গত সপ্তাহেই বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে নিশানা করেছিলেন কমিশনকে। সেখানে নাম সংযোজন ও বাদ দেওয়া সংক্রান্ত আবেদন জানানোর শেষ দিন ছিল ১ সেপ্টেম্বর। নির্বাচন কমিশনের দাবি ছিল, খসড়া তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে নাম অন্তর্ভুক্ত করা বা বাদ দেওয়া মিলিয়ে ১২৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু পবন রবিবার বলেন, ‘‘পরিকল্পিত ভাবে সংবাদমাধ্যমের কমিশনের সূত্রের ভিত্তিতে খবর ছাপানো হচ্ছিল যে, দলগুলির পক্ষ থেকে অভিযোগ জমা করা হচ্ছে না। কিন্তু বাস্তবে তালিকা তৈরির সময় ছাড়াও, নাম সংযোজন ও বাদ দেওয়ার কাজ যখন চলছিল, তখনও কংগ্রেসের বিএলএ-রা মোট ৮৯ লক্ষ অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন। যার প্রাপ্তিস্বীকার রসিদও রয়েছে কংগ্রেসের কাছে। কিন্তু সেই সব অভিযোগ কমিশন খারিজ করে দেয়।’’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শিল্পপতি গৌতম আদানি নাম নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপি শাসিত অসমের পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন পবন। এ বার বিজেপি নেতা মালব্যর অভিযোগ, দিল্লিতে জঙ্গপুরা ও নতুন দিল্লির দু’টি বুথের পবনের নাম রয়েছে। বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে বিতর্কের আবহে গত মাসে সে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী দাবি করেছিলেন, খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁর নামই নেই। তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরে বিজেপি দাবি করে লালুপ্রসাদের পুত্রের নামে দু’টি ভোটার কার্ড (এপিক নম্বর) রয়েছে!