পর পর ৫টি কোয়ার্টারে ধস নামার পর কিছুটা উর্ধ্বমুখী হল দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার।
সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া কোয়ার্টারে সেই হার হয়েছে ৬.৩ শতাংশ। এপ্রিল থেকে জুনে তার আগের কোয়ার্টারে সেই হার ছিল ৫.৭ শতাংশ। যা গত তিন বছরে ছিল সবচেয়ে কম। ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষের ৪টি কোয়ার্টারেই জিডিপি’র হার পড়েছিল।
ব্লুমবার্গ ও রয়টার্সের সমীক্ষায় অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস ছিল, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) সেই হার হবে ৬.৪ শতাংশ। সেই প্রত্যাশা কিন্তু ছুঁতে পারেনি বৃদ্ধির হার।
আরও পড়ুন- স্বপরিচালিত তহবিলে বাড়তি পেনশনে ‘না’
আরও পড়ুন- সঙ্কটে পড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র নিতে চায় এনটিপিসি
গত ৫ বছরের গড় বৃদ্ধির হারের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১২-’১৩ সালে তা ছিল ৫.৬ শতাংশ, ২০১৩-’১৪-য় ছিল ৬.৬ শতাংশ, ২০১৪-’১৫-য় ৭.২ শতাংশ, ২০১৫-’১৬-য় ৭.৯ শতাংশ আর গত অর্থবর্ষে (২০১৬-’১৭) তা ছিল ৭.১ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের খবর, মূলত উৎপাদন শিল্পের বৃদ্ধির হারের (৭ শতাংশ) দৌলতেই গত কোয়ার্টারে বৃদ্ধির হার বেড়েছে ৬.৩ শতাংশ। তবে বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে কৃষি ক্ষেত্রে। যা বেড়েছে মাত্র ১.৭ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি অর্থবর্ষের গত দু’টি কোয়ার্টারে (এপ্রিল থেকে জুন ও জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) বৃদ্ধির হার যা ছিল (যথাক্রমে ৫.৭ শতাংশ ও ৬.৩ শতাংশ), তাতে বাকি দু’টি কোয়ার্টারে খুব অসম্ভব কিছু ঘটে না গেলে গত অর্থবর্ষের গড় বৃদ্ধি-হারও (৭.১ শতাংশ) ছোঁয়া সম্ভব হবে না।
যদিও মুডি’জ রেটিংয়ের পূর্বাভাস আগামী অর্থবর্ষে তা ৭.৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। আর গোল্ডম্যান স্যাক্সের অনুমান তা হবে ৮ শতাংশ।