কেরলে দম্পতি এবং দুই সন্তানের অস্বাভাবিক মৃত্যু! —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
হরিয়ানার পঞ্চকুলায় একই পরিবারের সাত সদস্যের মৃত্যু ঘিরে রহস্যের মধ্যে কেরলের ভক্কমে একই পরিবারের চার সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যুতে শোরগোল। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ মনে করছে আত্মহত্যাই করেছেন দম্পতি এবং তাঁদের দুই সন্তান। কারণ হিসাবে পঞ্চকুলার ঘটনার মতোই উঠে আসছে ঋণ সংক্রান্ত বিষয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভিক্কমের বাসিন্দা অনিল কুমার, তাঁর স্ত্রী শিজা এবং তাঁদের দুই পুত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়িতেই। কর্তার বয়স ৫৫ বছর। গৃহকর্ত্রী ৫০ বছর বয়সি এবং দুই পুত্রের বয়স কুড়ির আশপাশে। সকলকেই আলাদা আলাদা ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। পুলিশ জানাচ্ছে, বেশ কয়েক দিন ধরে অনিলের পরিবারের কাউকে বাইরে বেরোতে দেখেননি প্রতিবেশীরা। তাই তাঁদের সন্দেহ হয়। মঙ্গলবার খোঁজ নিতে গিয়েই তাঁরা চারটি ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তড়িঘড়ি খবর দেন পুলিশকে।
চারটি দেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান,আত্মহত্যাই করেছেন বাবা-মা এবং দুই পুত্র। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘আমাদের অনুমান, অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়েছিলেন বাড়ির কর্তা। তাঁর আঁচ পড়ে গোটা পরিবারে। অর্থনৈতিক কারণে পরিবারের সকলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনই নিশ্চিত ভাবে কিছু বলছি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি আমরা।’’ পুলিশ আরও জানিয়েছে, কারও দেহের পাশে কিংবা বাড়ির কোথাও কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, বাড়ির কর্তার অনেক আর্থিক ঋণ ছিল। সেই কারণে সকলে মিলে আত্মহত্যা করলেন? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। বস্তুত, পঞ্চকুলায় মিত্তল পরিবারের আকস্মিক মৃত্যুর নেপথ্যেও অর্থনৈতিক সমস্যার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ধারদেনায় ডুবে থাকা ওই পরিবারের সকলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ সকলের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদের মধ্যে তিনটি কিশোর এবং কিশোরী রয়েছে। তাদের বয়স যথাক্রমে ১২, ১৩ এবং ১৪ বছর।