উত্তরপ্রদেশে ভরাডুবির পর বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস সংগঠনে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠছে। কিন্তু দলের এমন সঙ্কটের সময়ে রাহুল গাঁধী কোথায়? এই গরমে নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে-রাজ্যে রোড-শো করছেন। বুথে কর্মীদের কাছে পৌঁছচ্ছেন অমিত শাহ। কিন্তু রাহুলকে দেখা যাচ্ছে কোথায়? তবে দলের নিচু তলার নেতাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে দু’মাসের বিরতির পর অবশেষে প্রচারে বেরোনোর সিদ্ধান্ত নিলেন রাহুল গাঁধী।
সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারের সফরসূচি চূড়ান্ত হয়েছে রাহুলের। এ বছরের শেষে গুজরাত আর হিমাচলে ভোট। ১ মে গুজরাতের প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই দিনই রাজ্যের আদিবাসী এলাকা দাদিয়াপাড়া থেকে প্রচার শুরু করবেন রাহুল। হিমাচলেও তাঁর তিনটি সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে। ২৭ এপ্রিল ‘উড়ান’ প্রকল্পের উদ্বোধনে মোদী শিমলা যাচ্ছেন। তার পরেই শুরু হবে রাহুলের সভা।
লখনউয়ে হারের পর থেকে রাহুলের অনুপস্থিতি নিয়ে কর্মীদের মধ্যে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কংগ্রেসের অনেক নেতা রাহুলের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, রাহুল দেখাই করেন না। সংসদ চলার সময়ে কয়েক বার তাঁকে দেখা যায়। একবার যন্তর-মন্তরে তামিলনাড়ুর চাষিদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু হারের পর উত্তরপ্রদেশে তাঁর দোসর অখিলেশ যেমন বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরছেন, রাহুলের দেখা নেই কোথাও। অথচ এত শক্তি বাড়িয়েও ভোটমুখী রাজ্যে তেড়েফুঁড়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে মোদী-শাহ জুটি। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করতে সনিয়া গাঁধীকে সক্রিয় হতে হয়েছে।
অবশ্য কংগ্রেসের এক নেতার দাবি, রাহুল চুপ করে বসে নেই। তিনি বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। উত্তরপ্রদেশের নেতাদেরও ডেকে পাঠিয়েছেন।