১৩ মার্চ প্রথম ব্রডগেজ ইঞ্জিন আসে শিলচরে। পরে লামডিং, হাফলং হয়ে দফায় দফায় আসে পণ্যবাহী রেলগাড়ি। কিন্তু ইঞ্জিন আসার তিন মাসেও নতুন ব্রডগেজ লাইনে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি। ফলে ইঞ্জিন ঘিরে যে উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছিল হাফলং, বদরপুর, পাঁচগ্রাম, শিলচরে— তা ক্রমে ক্ষোভ-বিক্ষোভে পরিণত হচ্ছে।
আজ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের শিলচরের নির্মাণ কার্যালয়ে দু’ঘণ্টার বিক্ষোভ দেখায় লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি। তাঁরা পরে ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এইচ আনসারির মাধ্যমে রেলমন্ত্রীর কাছে স্মারকপত্র পাঠানো হয়। অজয় রায়, নির্মাল্য ঘোষ, অরুণাংশু ভট্টাচার্যরা জানান, ১ অক্টোবর ছ’মাসের জন্য লামডিং-শিলচর লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল। ন’মাস ধরে বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ রয়েছে। বেহাল রাস্তার দরুণ স্থানীয় বাসিন্দারা রেল পরিষেবা শুরুর অপেক্ষায়। কিন্তু রেলকর্তাদের মনোভাব বোঝা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে তাঁরা শিলচর থেকে কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাইয়ের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগের আর্জি জানান। দাবি করেন, বরাক ভ্যালি এক্সপ্রেস এবং কাছাড় এক্সপ্রেসও চালাতে হবে এবং বদরপুর থেকে ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মণিপুরের ব্রডগেজ প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে।
ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার আনসারি জানিয়েছেন, লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন রেলের সেফটি কমিশনার আসবেন। পুরো লাইন পরিদর্শন করবেন। রিপোর্ট দেবেন। এই সব কাজে ১৫ দিনের বেশি লাগার কথা নয়। তাঁর কথায়, ‘‘এক বার যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হয়ে গেলে দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা শুরু করা কঠিন ব্যাপার নয়।’’
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেফটি কমিশনার সুদর্শন নায়ক গত ১৯, ২০ ও ২১ মার্চ লামডিং-হাফলং পরিদর্শন করে গিয়েছেন। হাফলং-শিলচর অংশে পরিদর্শনের দিন-তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ১৮, ১৯ ও ২০ জুন এই রেল লাইনে যাত্রী নিরাপত্তার দিকগুলি খতিয়ে দেখা হবে। ২১ জুন হবে স্পিড ট্রায়াল বা গতিবেগ পরীক্ষা। এ দিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল আজ জানিয়েছেন, জুলাইয়ে ব্রডগেজ লাইনে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। তিনি রেলমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন— সমস্ত কাজকর্ম শেষ করে আনা হয়েছে। দ্রুত যাত্রীট্রেন চালানোর বিষয়টিকে কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।