ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল গত কাল সন্ধ্যাতেই। যখন বিরোধী সাংসদেরা সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারেন যে, রাজ্যসভার মেয়াদ একদিন বাড়ানো হচ্ছে। তার পর দলের নেতাদের রাজ্যসভার অফিস থেকে মোবাইল টেক্সট-এর মাধ্যমে খবর দেওয়া হয়, আজ, অর্থাৎ মঙ্গলবার একটি অনির্ধারিত বিষয় নিয়ে উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকের কথা। আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয় আজ সকালে, অর্থাৎ বৈঠকের দু’ঘণ্টা আগে!
গোটা বিষয়টিকে সংসদীয় প্রথার চরম অবমাননা ও সরকারের তুঘলকি আচরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস, তৃণমূল, এসপি, বিএসপি-র অভিযোগ, ভোট এসে গিয়েছে বলে লাজলজ্জার বালাই না রেখে খোলাখুলি ভাবে সংসদীয় কানুন এবং রেওয়াজকে মাটিতে মেশাচ্ছে মোদী সরকার।
শাসকদলের ‘দাদাগিরির’ বিরুদ্ধে আজ দিনভর সরব হন বিরোধীরা। এক বিরোধী নেতার মতে, বিজেপি-র এই আচরণের ফলে বিরোধীদের ঐক্য আরও মজবুত হচ্ছে। আজ রাজ্যসভা বারবার মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর কংগ্রেস, তৃণমূল, এনসিপি-র সাংসদেরা রাজ্যসভাতেই একটি ‘নকল সংসদ’-এর আয়োজন করেন। সেখানে প্রত্যেকে মোদী সরকারের সমালোচনা করে বক্তৃতা দেন।
সকালে একটি পথনাটিকার মাধ্যমে সরকারের বিরোধিতা করে তৃণমূল। নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে এই নাটিকায় নরেন্দ্র মোদীর মুখোশ পরে ডান্ডা হাতে দেখা যায় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনকে! সাংসদদের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘আমাকে আমার দেশ থেকে বের করে দিয়ো না। আমি ভারতীয় নাগরিক।’